‘চারে ৪’ স্বপ্ন পূরণে লড়ে যেতে চান মানে

মৌসুমে চার বড় শিরোপার সবকটি জয় লিভারপুল কোচের চোখে ‘অসম্ভব’, ঠিক বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নয়। তবে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে পা রাখার পর লিভারপুলের সাদিও মানের মনে উঁকি দিচ্ছে কোয়াড্রপলের অবিশ্বাস্য জয়ের স্বপ্ন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2022, 02:15 PM
Updated : 17 April 2022, 02:15 PM

তিনিও জানেন, লক্ষ্যটা স্পর্শ করতে হলে পাড়ি দিতে হবে ভীষণ কঠিন পথ। হয়ে উঠতে হবে অপ্রতিরোধ্য। তবে চেষ্টার কমতি না রাখার অঙ্গীকার করলেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড।

এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে শনিবার রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সিটিকে ৩-২ গোলে হারায় লিভারপুল। ম্যাচে জোড়া গোল করেন মানে।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইব্রাহিমা কোনাতে প্রথম এগিয়ে দেন লিভারপুলকে। এরপর মানের জোড়া গোলে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ক্লপের দল। দ্বিতীয়ার্ধে জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নার্দো সিলভার গোলে সিটি ব্যবধান কমালেও শেষ রক্ষা হয়নি দলটির।

এক সপ্তাহ আগে প্রিমিয়ার লিগে সিটির মাঠে পিছিয়ে পড়েও ২-২ ড্র করেছিল লিভারপুল। টেবিলে শীর্ষ এই দল দুটির পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ১, এগিয়ে আছে সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালও নিশ্চিত করেছে দুই দল।

আগেই লিগ কাপ ঘরে তোলায় লিভারপুলের সামনে তাই প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের হাতছানি। ২০১২ সালের পর প্রথমবার এফএ কাপের ফাইনালে ওঠা দলটা এই শিরোপার সঙ্গে লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে অনন্য ইতিহাস লেখা হবে।

এফএ কাপের ফাইনাল নিশ্চিতের পর বিবিসি স্পোর্টের করা সম্ভাব্য চার শিরোপার প্রসঙ্গে মানে প্রতিশ্রুতি দেন লড়াই করার।

“দেখা যাক, কী হয়। আমাদের এখনো অনেক ম্যাচ বাকি আছে, আমরা সেরাটা দেওয়ার চেস্টা করব। এটি (চার শিরোপা জয়) একটি স্বপ্ন, নিশ্চিতভাবেই। আমরা এর জন্য এগিয়ে যাব, এর জন্য লড়াই করে যাব।”

সিটির মাঠে গত রোববারের লিগ ম্যাচেও গোল করেন মানে। এফএ কাপে জোড়া গোলের সুবাদে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির বিপক্ষে মোট ১০ গোল হলো মানের। প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর মধ্যে শুধু ক্রিস্টাল প্যালেসের (১২ গোল) বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি গোল রয়েছে তার।

১৯৯৫ সালের পর লিভারপুলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে কোনো ম্যাচে জোড়া গোল করা ৩০ বছর বয়সী তারকার মতে, সেরা ফুটবল খেলে সিটিকে হারিয়েছে তারা।

“আমি মনে করি, ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা খুব ভালো খেলেছি। আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম… আমরা তাদের ভুল করার জন্য চাপ দিয়েছি (নিজের প্রথম গোল নিয়ে) এবং সে জন্য আমরা আমাদের পুরস্কারও পেয়েছি।”

এদেরসনের জায়গায় সিটির গোলপোস্টের নিচে দাঁড়ানো জ্যাক স্টেফেনের মারাত্মক ভুলে সপ্তদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মানে। জোন স্টোনসের ব্যাকপাস পেয়ে অনেকটা সময় পেয়েও ক্লিয়ার করেননি যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক। বরং তার আলগা স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ছুটে গিয়ে স্লাইডে জালে পাঠান মানে।

“এটাই লিভারপুল, আমাদের খেলার ধরনই এমন। অবশ্যই এটা তাদের জন্য সহজ ছিল না। আমি মনে করি এটাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।”

সব মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগের গতবারের চ্যাম্পিয়ন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর একটি সিটিকে হারানোর দিনটা মানের কাছে বিশেষ।

“আজকের দিনটা বিশেষ, কারণ আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটির মুখোমুখি হয়েছিলাম। এমন ম্যাচে জিতলে, বিশেষ করে সেটা যদি হয় সেমি-ফাইনাল, অবশ্যই এটা বড় স্বপ্ন, বড় জয়। ফাইনালে উঠতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত ও খুশি।”