লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে হওয়া সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে জিতেছে লিভারপুল।
প্রথমার্ধেই তিন গোল করে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে এক পা দিয়ে ফেলে অ্যানফিল্ডের দলটি। জোড়া গোল করেন সাদিও মানে, একটি ইব্রাহিমা কোনাতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু আর শেষে ব্যবধান কমান যথাক্রমে জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নার্দো সিলভা।
চলতি মৌসুমে সিটি ছুটছিল ট্রেবল জয়ের লক্ষ্যে। সেই আশা শেষ হয়ে গেল তাদের। মৌসুমে এরই মধ্যে লিগ কাপ জেতা লিভারপুলের চার শিরোপার সবগুলো জয়ের সম্ভাবনা টিকে থাকল ভালোভাবে।
চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় সিটি। গাব্রিয়েল জেসুসের পাস ডি-বক্সে পেয়ে গ্রিলিশের নেওয়া শট আটকে দেন ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক।
নবম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে ছয় গজ বক্সের মুখে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান ইব্রাহিমা কোনাতে।
লিভারপুলের হয়ে টানা তিন ম্যাচে হেডে গোল করলেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। আগের দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের দুই লেগে বেনফিকার বিপক্ষে।
বিরতির আগে সেনেগালের এই ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন হয় ৩-০। বক্সের মাথা থেকে থিয়াগো আলকান্তারার পাসে ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন মানে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ করে সিটি। ৪৭তম মিনিটে ব্যবধান কমান গ্রিলিশ। ডান দিক থেকে ফের্নান্দিনিয়োর বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে পাস দেন জেসুস। বাকিটা সারেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
৭০তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ হারান জেসুস। ওয়ান-অন-ওয়ানে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন তার স্বদেশি গোলরক্ষক আলিসন।
তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন লিভারপুল তারকা মোহামেদ সালাহ। অলেকসান্দার জিনচেঙ্কো ডাইভিং হেডে ব্যাক পাস দেন গোলরক্ষকের উদ্দেশে, কিন্তু জোর ছিল না। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে মিশরীয় ফরোয়ার্ডের চিপ শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
একটু পর ফের্নান্দিনিয়োর প্রচেষ্টা ফন ডাইকের পায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। রাহিম স্টার্লিংয়ের একটি শট ঠেকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন আলিসন।
২০১২ সালের পর এই প্রথম এফএ কাপের ফাইনালে উঠল লিভারপুল। তাদের প্রতিপক্ষ ঠিক হবে রোববার, দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হবে চেলসি।
একই মাঠে ১৪ মে হবে ফাইনাল।