বায়ার্নের কানকে এমেরির পাল্টা জবাব

ঘরের মাঠে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে জয়ের পর জায়ান্টদের মাঠে গিয়ে ড্র করল ভিয়ারিয়াল। তাতেই ঘটে গেল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে বড় অঘটন। সব সমীকরণ, সম্ভাবনা উল্টে দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালেই বায়ার্ন মিউনিখকে থামিয়ে দিল ভিয়ারিয়াল। অনেকের মতে, ভিয়ারিয়াল অসাধ্য সাধন করেছে। তবে প্রতিপক্ষকে যথাযথ কৃতিত্ব দিতে যেন রাজি নয় জার্মান চ্যাম্পিয়নদের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান। তার বিতর্কিত মন্তব্য শুনে পাল্টা খোঁচা দিলেন স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচ উনাই এমেরি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2022, 03:34 PM
Updated : 13 April 2022, 03:51 PM

ইউরোপ সেরার মঞ্চে শেষ আটের লড়াইয়ে নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় ভিয়ারিয়াল। ফিরতি দেখায় মঙ্গলবার বায়ার্নের মাঠে ১-১ ড্র করে দলটি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনালের টিকেট পায় তারা।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দেয় ভিয়ারিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে টমাস মুলারের অ্যাসিস্ট থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কি গোল করলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। কিন্তু ৮৮তম মিনিটে সামুয়েল চুকওয়েজে গোল করে স্তব্ধ করে দেন স্বাগতিক সমর্থকদের।

ম্যাচের পর অলিভার কান ভিয়ারিয়ালের রক্ষণাত্মক ফুটবলের সমালোচনা করেন। বায়ার্ন খেলোয়াড়দের করার কিছুই ছিল না বলে দাবি তার।

“এমন কিছু সব সময়ই হতাশাজনক। আমি মনে করি না কেউ দলকে (বায়ার্নকে) দোষ দিতে পারবে। খেলোয়াড়রা সব চেষ্টাই করেছে। আসলে এমন রক্ষণ ভেদ করা খুবই কঠিন।”

“প্রতিপক্ষ হিসেবে ভিয়ারিয়ালের মতো পানসে দল কমই আছে।”

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কানের এই কথার জবাব দেন এমেরি।

“সবার মতামতকে আমাদের সম্মান করতে হবে, তবে তারা (বায়ার্ন) যা বলেছে একেবারেই ঠিক নয়। দুই লেগের খেলা ছিল: যার প্রথম ৯০ মিনিট (ভিয়ারিয়ালের মাঠে), যেখানে আমরা তাদের চেয়ে ভালো ফুটবল খেলেছি। স্কোরবোর্ডেও আমরা পার্থক্য গড়তে পেরেছি। আজ (মঙ্গলবার) আমরা এমন ম্যাচ খেলেছি, যেখানে আমরা হারিনি।”

“কথা হচ্ছে, তারা চাপের মুখে আরও আগ্রাসী হতে চেয়েছিল। লেভানদোভস্কি দুটি আক্রমণাত্মক ট্যাকলও করেছিল এবং রেফারি তাকে মাঠ থেকে বিদায় করেনি (লাল কার্ড দেখানো), আমি বিষয়টা বুঝি কারণ সেটা উচিতও ছিল না। এরপর (ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার) হুয়ান ফয়থের জন্য তারা দ্বিতীয় কার্ড চাচ্ছিল। মাঠের লড়াই পরিচ্ছন্ন ছিল, ভালো খেলেছি।”

ম্যাচে তার দল সময় নষ্ট করেনি বলেও মনে করেন পিএসজি ও আর্সেনালের সাবেক কোচ এমেরি।

“যৌক্তিকভাবে, আমরা সময়ের ওপর নজর রেখে খেলেছি। ঘরের মাঠেও কিন্তু আমরা একইভাবে খেলেছি। গোলরক্ষকের মতো তারা যদি উপরে আসতে এবং চাপ তৈরি করতে না চায়, আমরা তো সময় পাবই।”

“এর মানে এই না যে আমরা খেলতে চাইনি। আমরা চেয়েছি তারা (আক্রমণে) আসুক এবং আমাদের চাপ দিক। আজ সেটা তারা করেছে… কিন্তু প্রথম লেগে তারা এটা পারেনি।”
 

এমেরির দাবি, তার দলের কৌশলের কাছেই হেরে গেছে বায়ার্ন।

“আমি যেটা বলতে চাইছি তা হলো, প্রতিটি দলের আলাদা কৌশল আছে। কিন্তু একে অপরকে সম্মান দেখাতে হবে, আমার থেকে এই বিষয় কখনও হারাবে না। যদি কেউ আমাকে অসম্মান করে, সেক্ষেত্রেও এমন নয় যে আমি তাকে অসম্মান করব। তবে আমি তাকে উপেক্ষা করব।”

“কান বলেছেন, ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না এবং আমরা তাদের অবাক করে দিয়েছি… ঠিক আছে, একজনকে তো সাহস দেখাতে হবে।”