চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ম্যাচটি শুরুর আগে নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট ছিল বায়ার্ন। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর দেখা যায়নি প্রত্যাশিত দৃশ্য। আক্রমণে ভুগতে শুরু করে বুন্ডেসলিগার দলটি। উজ্জীবিত ফুটবলে তাদের উপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে স্বাগতিকরা।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই এগিয়ে যায় তারা। দানিয়েল পারেহোর শটে ছয় গজ বক্সে পা ছুঁয়ে শুধু বলের দিক পাল্টে কাজ সারেন দানজুমা। ব্যবধান বড় হতে পারত। কিন্তু তাদের একটি প্রচেষ্টা পোষ্টে লাগে, সুযোগও হারায় আরও কয়েকটি।
ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দলের এমন চমৎকার পারফরম্যান্সের পর প্রশংসায় ভাসছে ভিয়ারিয়াল। ছেলেদের খেলায় এমেরিও খুশি। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় একই সঙ্গে সতর্কও তিনি। ম্যাচের পর বললেন সেই কথাই।
“লড়াই করতে এবং সেমি-ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। আজ আমরা কেমন খেললাম, আমরা জিতলাম, বায়ার্নের বিপক্ষে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলাম এবং তাদের চেয়ে ভালো খেললাম, এসব ভাবনায় বসে থাকতে চাই না।”
এই ম্যাচে বায়ার্নের এমন সাদামাটা পারফরম্যান্স এবং ভিয়ারিয়ালের দারুণ পারফরম্যান্সের পরও সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনায় বায়ার্নের পক্ষেই হয়তো বাজি ধরার লোক থাকবে বেশি। কারণটাও অযৌক্তিক নয়।
ফিরতি লেগে আগামী মঙ্গলবার বায়ার্ন খেলবে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া দলটি গত মাসেই নিজেদের মাঠে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে সালসবুর্ককে উড়িয়ে দিয়েছিল ৭-১ গোলে।
এমেরি তাই ফিরতি দেখায় কঠিন লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। তবে তার আত্মবিশ্বাসে কোনো কমতি নেই।
“তাদের হারাতে না পারলে আমি সন্তুষ্ট হবো না। আজকে এখানে ভালো খেলার পরও (সেমি-ফাইনালে উঠতে না পারলে) আমি হতাশ হবো।”