‘সুপারলেটিভ’ পেদ্রি শট নিয়েই বুঝেছিলেন, ‘কাজ হয়ে গেছে’

ধারাভাষ্যকার বললেন ‘ম্যাজিকাল… বিস্ময়কর এক গোল।’ তাৎক্ষনিকভাবে এর চেয়ে ভালো বিশেষণ বুঝি আর হয় না। সত্যিই জাদুকরি এক মুহূর্ত উপহার দিলেন পেদ্রি, সেই ইন্দ্রজালে বিস্ময়াভূত যেন সবাই। মুগ্ধ কোচ শাভি এরনান্দেসের চোখে পেদ্রি ‘সুপারলেটিভ’ ফুটবলার। বার্সেলোনার তরুণ এই সেনসেশন নিজে বলছেন, শট নিয়েই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বল খুঁজে নেবে জালের ঠিকানা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2022, 05:38 AM
Updated : 4 April 2022, 08:38 AM

বার্সেলোনার পুনর্জাগনের পথে একদম শুরু থেকেই কোচ শাভির বড় সহায় পেদ্রি। ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের প্রতিভার বিচ্ছুরণ এর মধ্যেই যথেষ্ট দেখে ফেলেছে বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দল। লা লিগায় রোববার সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি ম্যাচ জেতানো অসাধারণ গোলে দেখান নিজের ঝলক।

ম্যাচের ৭২তম মিনিটে উসমান দেম্বেলের কাছ থেকে ডি-বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে তিনি বাঁ পায়ের আলতো টোকায় দারুণভাবে এড়িয়ে যান সেভিয়ার ইভান রাকিতিচের স্লাইড। পরমুহূর্তেই ডান পায়ে বল নিয়ে ডজ দেন ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোসকে। এরপর বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে চকিতে করে দেন গুলির বেগে শট। সেভিয়ার গোলকিপার ফুল লেংথ ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি, বল আশ্রয় নেয় জালে।

শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই ম্যাচ জিতে বার্সেলোনা উঠে আসে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে।

বার্সেলোনার একজনের এরকম গোল আরেকজনকে মনে করিয়ে দিতে বাধ্য। এই জার্সিতে এমন মুগ্ধতা জাগানিয়া গোল তো কম করেননি লিওনেল মেসি! পেদ্রিকে ঘিরে ভবিষ্যতের এমনই এক মহাতারকার ছবি আঁকছেন বার্সার অনেকেই।

কোচ শাভি অবশ্য কোনো তুলনায় যেতে রাজি নন, স্রেফ পেদ্রির প্রতিভায়ই তিনি মুগ্ধ।

“পেদ্রি সুপারলেটিভ ফুটবলার। আমি তাকে সবসময়ই বলি, সুযোগ পেলে বক্সের বাইরে থেকে শট নিতে। পেদ্রি এমন একজন, যাকে নিয়ে কোনো তুলনায় যেতে চাই না আমি। সুযোগ তৈরি করা ও সুযোগ  কাজে লাগানো, দুই ভূমিকাতেই নিজের প্রতিভায় সে অনন্য।”

পেদি নিজে বিমোহিত কাম্প নউয়ের দর্শকের গর্জন আর ভালোবাসায়। ম্যাচ শেষে তিনি শোনালেন গোলটির গল্পও।

“এই সমর্থকদের (আওয়াজ) শুনতে পারাটা পাগলাটে এক অনুভূতি, এই স্টেডিয়াম স্রেফ অসাধারণ।”

“(ওই গোলের সময়) প্রতিবারই যখন দেখছি কারও পা সামনে চলে আসছে, আমি চেষ্টা করেছি এগিয়ে যেতে। শেষবার এড়িয়েই শট নিলাম, তখনই বুঝে গেছি, কাজ হয়ে গেছে। বুঝে গিয়েছিলাম, এটি গোল হচ্ছেই।”