অ্যানফিল্ডে শনিবার ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। প্রথম লেগে ওয়াটফোর্ডের মাঠে ৫-০ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছিল তারা।
৩০ ম্যাচে ২২ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি ৭০ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। দিনের পরের ম্যাচে বার্নলিকে হারালেই শীর্ষে ফিরবে সিটি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ব্যস্ততা শেষ করে লিগে ফিরলেন মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। মিশরের হয়ে বাছাই মিশনে ব্যর্থ হওয়া সালাহ এ ম্যাচেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। মিশরকে ছিটকে দিয়ে সেনেগালকে বিশ্বকাপে তোলা নায়কদের একজন মানেও বদলি নেমে পারেননি ছাপ রাখতে।
শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য করলেও লিভারপুলের আক্রমণে ছিল না চেনা ধার। উজ্জীবিত ফুটবল খেলা ওয়াটফোর্ডের গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে পারছিল না জটা-সালাহরা।
২২তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে সক্ষম হয় লিভারপুল এবং গোলও তুলে নেয়। ডান দিক থেকে জো গোমেজের নিখুঁত ক্রসে জটার ফ্লিক হেড দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। জোয়েল মাতিপের ব্যাকহিলে বল প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে যায় জটার কাছে। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের শট আটকান বলের লাইনে থাকা গোলরক্ষক বেন ফস্টার।
এ অর্ধে চারটি আক্রমণের দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে সবশেষ লিভারপুলের মাঠে ১৯৯৯ সালে জেতা ওয়াটফোর্ড। কিন্তু ত্রয়োদশ মিনিটে চুচো এরনান্দেসের হেড এবং ২২তম মিনিটে ইউরাই কুচকার শট আটকে অলরেড খ্যাত দলটির ত্রাতা আলিসন।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভুগতে দেখা যায় লিভারপুলকে। ৬০তম মিনিটে জটার হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ছয় মিনিট পর সালাহর হেডের পরিণতিও একই। একটু পর মিশরের এই ফরোয়ার্ডের বদলি নামেন মানে।
৮৮তম মিনিটে জটাকে বক্সে কুচকা ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাবিনিয়ো। তাতে চলতি লিগে লিভারপুলের টানা দশম জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।