বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত পৌনে একটায় পোর্তোয় মাঠে গড়াবে পর্তুগাল ও নর্থ মেসিডোনিয়ার ম্যাচটি।
‘সি’ গ্রুপের প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে গত বৃহস্পতিবার তুরস্ককে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারায় ইউরো ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল।
একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে ইতালিকে তাদের মাঠেই হারিয়ে বড় চমক দেখায় নর্থ মেসিডোনিয়া। পর্তুগালের জন্য দুর্ভাবনার কারণ, বাছাইয়ে নিজেদের সবশেষ পাঁচ অ্যাওয়ে ম্যাচের চারটিতে জিতেছে তাদের প্রতিপক্ষ দল।
নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে রোনালদোর কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রতিপক্ষের সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো হলেও রোনালদোর বিশ্বাস, স্বাগতিক দর্শকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
“ভক্তদের প্রতি আহ্বান, দ্রাগাওয়ে তারা (প্রতিপক্ষকে) যেন অতিষ্ট করে তোলে।”
প্লে-অফের ড্র হওয়ার পর অনেকের ধারণা ছিল, চূড়ান্ত লড়াইয়ে পর্তুগালকে খেলতে হবে ইতালির বিপক্ষে। তবে ভিন্ন বাস্তবতায় তাদের সামনে এখন ‘জায়ান্ট কিলার’ তকমা পেয়ে যাওয়া নর্থ মেসিডোনিয়া।
কাতার বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার বাঁচা-মরার ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়াকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নিতে চান না রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড মনে করেন, নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবে তার দল।
“এটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে যাচ্ছে।”
“চাপ দুই দলের জন্যই সমান। দল প্রস্তুত, আমরা কার বিপক্ষে খেলব তাতে আমার কিছু আসে যায় না। পর্তুগাল যদি নিজেদের সর্বোচ্চ মানে খেলে, আমরা বিশ্বের যেকোনো প্রতিপক্ষকে হারাতে পারি। তাই আমি ভক্তদের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি: মঙ্গলবার আপনাদের পূর্ণ সমর্থন আমাদের দরকার। আপনারা যদি আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে আমরা ম্যাচটি জিতব।”
অনেকেই মনে করেন, কাতার বিশ্বকাপই হতে পারে বৈশ্বিক আসরে রোনালদোর সবশেষ উপস্থিতি। কেননা পরবর্তী বিশ্বকাপ আসতে আসতে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার বয়স হবে ৪১।
সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজাজ হারান রোনালদো। বললেন, অবসর নিয়ে না ভেবে যতদিন ইচ্ছা খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
“আমি এই প্রশ্নগুলো শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমিই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করব।”
“আমি যদি খেলা চালিয়ে যেতে চাই, আমি তা করব। আমি যদি অবসর নিতে চাই, আমিই সেই সিদ্ধান্ত নিব। এসব সিদ্ধান্ত পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত।”