বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আইয়ুশ মেলে ধরলেন ২১ বছর আগের স্মৃতি। এতগুলো বছরের ধুলে পড়েছে, কিন্তু সে স্মৃতি আজও অমলিন তার কাছে।
“২০০১ সালে আমার বয়স ছিল ১১ বছর। ২০০১ সালে সেদিন মঙ্গোলিয়ায় ছুটির দিন ছিল। দাম্মামে ৯৪ মিনিটে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল করে ড্র করেছিল মঙ্গোলিয়া। সেদিন আমি খুব চিৎকার-উল্লাস করেছিলাম। আমার ফুটবলার হওয়ার জন্য অনেক অনুপ্রেরণাদায়ী ছিল ম্যাচটা। সেদিন থেকেই মঙ্গোলিয়া জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেছি।”
আইয়ুশের সে স্বপ্ন পূরণ হয় ২০০৬ সালে। যে ম্যাচ দেখে স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন, সেই দেশের বিপক্ষে খেলতেই এখন তিনি সিলেটে। ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের বাহুতে শোভাও পাচ্ছে জাতীয় দলের আর্মব্যান্ড।
কেবল দাম্মামের ওই ম্যাচ নয়, বাংলাদেশ সম্পর্কেও মোটামুটি জানাশোনা আছে আইয়ুশের। এই দেশে এখন যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, সেটাও জানেন তিনি।
“আমি শুনেছি বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা ক্রিকেট। আমার দেশে কুস্তি, বক্সিং, জুডো, কিন্তু আমার হৃদয়ে ফুটবলই সেরা। ১৯৯৯ সাল থেকে ফুটবল খেলছি, ২০০৬ সালে জাতীয় দলে খেলা শুরু। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারাটা সৌভাগ্যের।”
স্রেফ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নয়, জয় নিয়ে ফেরার লক্ষ্যও আছে আইয়ুশের। লক্ষ্য পূরণের অনুপ্রেরণা তিনি পাচ্ছেন দুই দশকেরও বেশি সময় আগের সেই প্রাপ্তি থেকে।
“বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ম্যাচ আমার স্মৃতিতে খুব ভালোভাবেই আছে। ২১ বছর আগের সেই ড্র…মঙ্গোলিয়ার ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেটাই ছিল আমাদের প্রথম পয়েন্ট পাওয়া, অসাধারণ একটা ইতিহাস।”
“এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, ম্যাচ জেতা। আর সেজন্যই আমরা এখানে এসেছি। মঙ্গোলিয়া থেকে এখানকার তাপমাত্রা অনেক ভিন্ন। লাওসে আমরা সাতদিন অনুশীলন করেছি, তাই প্রস্তুতি খুব একটা খারাপও না। লড়াই করতে প্রস্তুত আমরা।”