গ্রাভিনার আশা, আগের মতোই দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন মানচিনি। সেই সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক কোচের হাত ধরে ইতালি আবারও জেগে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয় ইতালি। ওই ব্যর্থতার পর স্বদেশের জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন মানচিনি।
তার হাত ধরে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে ইতালি। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রেকর্ড ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত ছিল দলটি। এই পথচলায় তারা জিতে নেয় ইউরো ২০২০ এর শিরোপা।
একটা সময় পর্যন্ত সরাসরি কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথে ভালোভাবেই ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে শেষের কয়েকটি ম্যাচে খেই হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপে সুইজারল্যান্ডের পেছনে থেকে রানার্সআপ হয় তারা।
এরপরও তাদের সামনে সুযোগ ছিল চূড়ান্ত পর্বে খেলার। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দুটি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় মানচিনির দল।
২০০৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে বিশ্বসেরার মঞ্চে কোনো সুখকর অভিজ্ঞতা নেই ইতালির। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। আর ওই দুই আসরের গ্রুপ পর্বে তাদের জয় সাকুল্যে একটি।
আগের আসরগুলোর হতাশা ভুলতে ভক্তদের আশা যোগাচ্ছিল মানচিনির এই দল। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর তাদের নিয়ে প্রত্যাশাও বেড়েছিল অনেক। সেখান থেকে আরেকটি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে দলের এভাবে বাদ পড়াটা ইতালিয়ান ফুটবলের জন্য অনেক বড় ধাক্কা।
স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে মানচিনির ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইতালিয়ান টিভি চ্যানেল রাই স্পোর্তের সঙ্গে আলাপকালে গ্রাভিনা আশা প্রকাশ করেন, ধাক্কা সামলে আগামীতেও দলের সঙ্গে থাকবেন মানচিনি।
“আমাদের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি, তিনি সব ইতালিয়ানদের মতোই এই ধাক্কা সামলে উঠবেন এবং আমাদের সঙ্গে থেকেই কাজ চালিয়ে যাবেন।”
কঠিন এই সময়ে পুরো জাতীয় দলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রাভিনা।
“গত গ্রীষ্মে (ইউরো জয়ের পর) আমরা যেমন বাহবা পেয়েছি, ঠিক তেমনি এখন আমাদের অবশ্যই সমালোচনা মেনে নিতে হবে। তবে আমাকে অবশ্যই জাতীয় দলকে রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।”
“আমরা মাথা উঁচু রেখে এগিয়ে যাব। আমাদের গত গ্রীষ্মের উদ্দীপনা হারানো উচিত হবে না... সমালোচনা হতেই পারে, কিন্তু আমরা আরও বেশি ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাই না।”