গত মৌসুমে লিগ ওয়ানের শিরোপা না জিততে পারলেও লম্বা সময় ধরেই ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে একক আধিপত্য পিএসজির। ঘরোয়া সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এখনও অধরাই রয়ে গেছে প্যারিসের দলটির জন্য।
লক্ষ্য পূরণে প্রতি বছরেই দলের শক্তি বাড়াচ্ছে তারা। চলতি মৌসুমে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেসি, সের্হিও রামোস, জানলুইজি দোন্নারুম্মা, আশরাফ হাকিমি জর্জিনিয়ো ভেইনালডামরা।
তারকায় ঠাসা দল গড়েও চলতি মৌসুমে ইউরোপ সেরার মঞ্চে পুরানো ব্যর্থতার ঘেরাটোপেই রয়ে গেছে পিএসজি। কদিন আগে শেষ ষোলো থেকে তাদের বিদায় করে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। দুই লেগের কোনটিতেই জালের দেখা পাননি মেসি। একই অবস্থা তার ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারেরও।
গোল না পাওয়া ছাড়াও দ্বিতীয় লেগে পুরোটা সময়ে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন মেসি। বারবার তার বল হারানোটা ছিল দৃষ্টিকটু।
রিয়ালের বিপক্ষে হারের পর পিএসজির ভক্তদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু হন মেসি ও নেইমার। গত ১৩ মার্চ বোর্দোর বিপক্ষে লিগে ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচে এই দুজনকে দুয়ো দেন সমর্থকরা। বার্সেলোনায় দুই যুগেরও বেশি দীর্ঘ ক্যারিয়ারের কখনও এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়নি মেসিকে।
আরএমসি স্পোর্টসের সঙ্গে সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় ফ্রান্সের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের একজন হিসেবে বিবেচিত প্লাতিনি বলেন, প্রত্যাশা পূরণ না করতে পারলে সমালোচনা মেনে নিতে হবে মেসিকে।
“সেও (মেসি) তাদের (ভক্তদের) অনুভূতিটা বোঝে, কিন্তু এটি কষ্ট দেয়। আমাকেও পিএসজির মাঠে (জাতীয় দলের হয়ে খেলা ও কোচ থাকাকালীন সময়ে) দুয়ো দেওয়া হয়েছিল।”
“(ভক্তদের) দুয়ো দেওয়ার অধিকার আছে। ওরাই রাজা। আমি এটা করতাম না। সবারই দুয়ো দেওয়ার অধিকার আছে। লিও (মেসি) প্যারিসকে আনন্দে ভাসাতে এসেছিল। হয়তো অন্য দলগুলোও তাকে চেয়েছিল। এটা খুব কঠিন।”
লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ের জন্য বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন মেসি। এই অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যেই কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা।
১৫ ম্যাচে ১০ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। ১৬ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। চার দিন পর দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ একুয়েডর।