গত মাসে তিতে ঘোষণা দেন, কাতার বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। ২০১৬ সালের জুনে দলটির দায়িত্ব নেন তিনি। তার কোচিংয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠে ব্রাজিল। সেখানে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয় বিশ্বকাপের সফলতম দলটি।
২০১৯ সালে তারা জিতে নেয় কোপা আমেরিকা। তবে মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাটির গত বছরের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের বিষাদ হয় সঙ্গী। তবে কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ব্রাজিল ছুটছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিট ব্রাজিল নিশ্চিত করেছে অনেক আগেই। বাছাইপর্বে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে হওয়া ম্যাচে মারাকানা স্টেডিয়ামে চিলিকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। ১৬ ম্যাচে ১৩ জয় ও তিন ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে শীর্ষে।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে হারের পর থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে ব্রাজিল।
চিলির বিপক্ষে জয়ের পর ঘরের মাঠে প্রধান কোচ হিসেবে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তিতে।
“এটির অর্থ অনেক কিছু এবং মাত্রাও অনেক। সুনির্দিষ্ট অনেক ব্যাপার আছে। আজ মারাকানায় উপস্থিত সমর্থকদের অনেক ধন্যবাদ, আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।”
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বাছাইপর্বের স্থগিত ম্যাচটি পুনরায় হলে আবারও হয়তো ঘরের মাঠে ব্রাজিলের ডাগআউটে দেখা যাবে তিতেকে। যদিও ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। দুই দলই পেয়েছে কাতারের টিকেট। পুনরায় ম্যাচের জন্য সবার আগ্রহও কম থাকবে।
চিলির বিপক্ষে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বড় জয় তুলে নেয় ব্রাজিল। নেইমার দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামার কিছুক্ষণ পর গোল করেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো, যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান রিশার্লিসন।
কোনো একজনের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ না করলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি তিতে।
“দুটি বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে, মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে আসা ও তাদের ক্লাবের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করা। জাতীয় দলের জার্সি পরার প্রত্যাশার (চাপে) কারণে এটি কঠিন।”
বাছাইয়ে পরের ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার বলিভিয়ার মাঠে খেলবে ব্রাজিল। কার্ডের খাঁড়ায় নেইমার ও ভিনিসিউসকে এই ম্যাচে পাবেন না তিতে।