ফুটবলের চিরায়ত পরাশক্তি, বিশ্বকাপ ইতিহাসের সফল দলগুলির একটি টানা দুই বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না, গোটা ফুটবল বিশ্বকেই নাড়া দিয়ে গেছে তা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারেনি। এবারের ব্যর্থতা আরও বড়, আরও বিস্ময়কর।
এখন তারা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচের পর ম্যাচ অপরাজিত থেকে জিতে নিয়েছে ইউরোর শিরোপা। সেই দল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেই বাদ!
পালেরমোতে বৃহস্পতিবার নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে শেষ সময়ের গোলে হেরে শেষ হয়ে গেছে ইতালির বিশ্বকাপ খেলার আশা।
ম্যাচে অসংখ্য গোলের সুযোগ তৈরি করে একটিও কাজে লাগাতে পারেনি ইতালি। নিজেদের প্রচেষ্টার জায়গায় ঘাটতি দেখেননি অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েল্লিনি। তবে বাস্তবতার ছোবল প্রবলভাবেই পোড়াচ্ছে এই ম্যাচের শেষ দিকে মাঠে নামা ৩৭ বছর বয়সী ফুটবলারকে।
“আমি গর্বিত যে দল নিজেদের সবটা উজাড় করে দিয়েছে। তবে এটা পরিষ্কার যে আমরা বিধ্বস্ত ও চূর্ণ হয়ে গেছি। বড় একটি শূন্যতা আমাদের সঙ্গী হয়ে থাকবে।”
“প্রচণ্ড হতাশ আমরা। আজকেও আমরা দারুণ খেলেছি, কিন্তু গোল করতে পারিনি। গত সেপ্টেম্বর থেকে আজকে পর্যন্ত আমরা ভুল করেছি এবং সেটির চড়া মূল্য দিয়েছি।”
বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘সি’-তে এক সময় শীর্ষে ছিল ইতালি। প্রথম ৬ ম্যাচের ৪টিতেই জয় পায় তারা, ড্র করে বাকি দুটিতে। গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে লিথুয়ানিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে উড়ছিল তারা। কিন্তু গড়বড় হয়ে যায় শেষ দুই ম্যাচে। নভেম্বরে শুরুতে সুইজারল্যান্ড ও পরে নর্দান আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টানা ড্র করে গ্রুপে তারা পিছিয়ে পড়ে।
গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ায় তাদেরকে নামতে হয় প্লে-অফের পরীক্ষায়। এখানে প্রথম পরীক্ষাতেই ব্যর্থ হয়ে আরেক দফায় শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপ খেলার আশা। এক সময় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলের এই পরিণতি মানতেই পারছেন না মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি।
“বিশ্বকাপে খুব ভালো সম্ভাবনা ছিল এই দলটির। অপরাজেয় রেকর্ড ছিল আমাদের। তাই আজকে যা হলো, তা মেনে নেওয়া কঠিন আমাদের জন্য।”
“আমরা সবাই জানি, নিজেদের সবটুকু দিয়েছি আমরা। তবে এখন অবশ্যই কিছু আত্মজিজ্ঞাসার সময় হয়েছে।”