শুরু থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত বল কেবল ঠেকিয়ে যাওয়া দলটিই বাজিমাত করল শেষ পর্যন্ত। প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার জিতে গেল ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ঘরের মাঠেই শেষ হয়ে গেলে ইতালির বিশ্বকাপে ফেরার অভিযান।
১৯৫৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় ইতালি। সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি সবশেষ ২০০৬ সালে শিরোপা জেতা দলটি। এবার স্বপ্ন ভাঙল পালেরমোতে, আলেসান্দার ত্রাজকোভস্কির অসাধারণ গোলে।
বল দখল ও আক্রমণে অনেক এগিয়ে ছিল ইতালি। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
‘সি’ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়া ইতালি ৩০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত নর্থ মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির মারাত্মক ভুলে। নিজেদের এক খেলোয়াড়কে বল বাড়াতে গিয়ে তিনি দিয়ে ফেলেন দোমেনিকো বেরার্দিকে। কিন্তু শট নিতে বেশি সময় নিয়ে ফেলেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। ততক্ষণে অনেকটাই নিজের জায়গায় চলে যান গোলরক্ষক। ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন বেরার্দির দুর্বল শট।
৩২তম মিনিটে লরেন্সো ইনসিনিয়ের দূরপাল্লার শট কাছের পোস্টে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের ইতালির লক্ষ্যে থাকা ১৫ শটের কেবল তিনটি ছিল লক্ষ্যে, তার একটি ছিল বুলেট গতির এই শট।
৩৭তম মিনিটে জটলা থেকে চিরো ইম্মোবিলের শট নর্থ মেসিডোনিয়ার একজনের পায়ে লেগে ব্যর্থ হয়ে যায়। পরের মিনিটে প্রতি আক্রমণে বিপদে পড়তে যাচ্ছিল ইতালি। কিন্তু ডি-বক্সের ঠিক মাথায় দারুণ স্লাইডে সফরকারীদের দারুণ আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন আলেস্সান্দো ফ্লোরেন্সি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই চিত্র। ৫৮তম মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির ডিফেন্স চেরা পাসে ডি বক্সের মাথা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেরার্দি। নষ্ট হয় দারুণ আরেকটি সুযোগ।
এরপরও সুযোগ আসে, সুযোগ যায়, কিন্তু কাজে লাগানো আর হয়ে ওঠে না ইতালির। যোগ করা পাঁচ মিনিটের তখন দ্বিতীয় মিনিট চলে। ইতালি প্রস্তুতি নিচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ের। ঠিক তখনই মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে আড়আড়ি শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন ত্রাজকোভস্কি। ইতালির আশার সমাপ্তি সেখানেই।
অন্য ম্যাচে তুরস্ককে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্লে-অফ ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াইয়ে আগামী মঙ্গলবার নর্থ মেসিডোনিয়ার শেষ প্রতিপক্ষ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দল।