প্লে-অফের ‘সি’ গ্রুপে ‘সেমি-ফাইনাল’ নামের প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে খেলবে ইতালি। এই ম্যাচের বিজয়ী দল পাঁচদিন পর খেলবে পর্তুগাল ও তুরস্কের মধ্যকার আরেক সেমি-ফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে।
ওই ম্যাচের বিজয়ী দল পাবে বিশ্বকাপের টিকেট।
কাতার বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়ায় ইতালিকে প্লে-অফে খেলতে হচ্ছে।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ইতালি। ১৯৫৮ আসরের পর সেবার প্রথমবারের মত বিশ্বসেরার মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় চার বার বিশ্বকাপ জয়ী দলটি।
কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ভালোভাবেই শীর্ষে থেকে লক্ষ্য পূরণের পথে ছিল ইতালি। কিন্তু শেষ ম্যাচে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে গ্রুপ সেরা হতে ব্যর্থ হয় তারা।
২০১৮ সালে রবের্তো মানচিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো ইতালির সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়াটা কিছুটা বিস্ময়করই।
বাছাইপর্ব ছাড়াও ২০২০ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখিয়েছিল তারা। জিতে নেয় শিরোপাও।
ওই প্রতিযোগিতায় দেখা গিয়েছিল ভিন্ন এক ইতালিকে, যারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অথচ এখন তাদের বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই টানাটানি।
কিয়েল্লিনির অবশ্য আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলেই জয়ের ঠিকানা খুঁজে পাবেন তারা।
“আমাদের অসাধারণ কিছু করার প্রয়োজন নেই, এমন নয় যে আমরা জানি না কিভাবে কী করতে হবে। আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) আবহ হবে দুর্দান্ত, আমরা সবাই সত্যিই খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।”
“মাটিতে পা রাখতে হবে আমাদের, তবে ওয়েম্বলিতে (ইউরো ২০২০ ফাইনাল) আমরা যা করেছি, তার পুনরাবৃত্তি করার মত অসাধারণ কিছু করার দরকার নেই… সবসময় যেভাবে খেলে আসছি, আমরা যদি সেভাবে খেলি, তাহলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাব।”
কিয়েল্লিনির সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মানচিনিও। নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক মত করার তাগিদ জানালেন কোচ।
“কিয়েল্লিনি যেমনটা বলেছে, আমাদের যা করণীয়, সেটিতেই মনোনিবেশ করতে হবে। ইতালি জানে কীভাবে ভালো ফুটবল খেলতে হয় এবং অন্য কিছু নিয়ে না ভেবে আমাদের শুধু খেলা নিয়ে ভাবতে হবে।”
কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় ইতালি ও নর্থ মেসিডোনিয়ার মধ্যকার ম্যাচে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতিতে কোনো বাধা নেই। মানচিনি মনে করেন, সমর্থকদের উপস্থিতি তাদের বাড়তি প্রেরণা দেবে।
“আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা দর্শকদের শতভাগ উপস্থিতিতে ফিরে যাব, যা ইতিবাচক এবং গত দুই বছরের তুলনায় এটি একটি বোনাস। পালেরমোতে সবসময় দলের জন্য সমর্থন থাকে।”