‘কাতারে বিশ্বকাপ হাস্যকর’

অনেক আলোচনা-সমালোচনার স্রোত পেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর খুব বেশি দেরি নেই। এ বছরের নভেম্বরে শুরু হবে বৈশ্বিক আসর। কিন্তু সমালোচনা থেমে নেই। এবার যেমন নেদারল্যান্ডস কোচ লুইস ফন খাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনকে ‘হাস্যকর’ বললেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2022, 11:31 AM
Updated : 22 March 2022, 11:31 AM

কেবল এতটুকু বলেই থামেননি ফন খাল। তার মতে, স্রেফ আর্থিক ও বাণিজ্যিক কারণে দেশটিতে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করছে।

“আমরা এমন একটি দেশে খেলব, যেখানে খেলার ব্যাপারে ফিফার ভাষ্য হচ্ছে, তারা ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করছে। এগুলো একেবারেই বাজে কথা।”

“কাতারে বিশ্বকাপ হওয়ার কারণ হচ্ছে আর্থিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ। ফিফার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

গত নভেম্বরেই বাছাই পেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। বৈশ্বিক ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের প্রস্তুতি নিতে আগামী শনিবার ডেনমার্ক এবং মঙ্গলবার জার্মানির বিপক্ষে খেলবে ডাচরা। এ দুই ম্যাচ সামনে রেখে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফাকে ধুয়ে দেন ফন খাল।

ডাচ ফুটবল ফেডারেশনের একটি কমিশনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন ফন খাল। যে কমিশন কাতারে চলমান মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রতি মাসে মূল্যায়ন করে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে যে গুটিকয়েক দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সমালোচনা করে, নেদারল্যান্ডস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (কিএনভিবি) তাদের মধ্যে একটি। এই সংবাদ সম্মেলনে কেএনভিবি-এর অবস্থানও তুলে ধরেন ফন খাল।

“কেএনভিবি কখনই কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে ছিল না এবং অবশ্যই যেভাবে সেখানে বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে আচরণ করা হয়, তা অনুমোদন করে না।”

২০১০ সালে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পায়। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের উন্মাদনা ওঠে মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু তারপর থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে কাতার আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে।

গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে জার্মানি ও নরওয়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ডাচ খেলোয়াড়রাও কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানানোর বার্তা লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন।

বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে জানায়, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পাওয়ার পর দেশটিতে কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিকের মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছে।

অবশ্য কাতারের দাবি, উল্লেখিত মৃত্যুর ঘটনা ‘প্রত্যাশিত সীমা’র মধ্যে ছিল এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংস্কারের ফলে ২০১০ সাল থেকে মৃত্যুর হার ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে।