আগামী বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের মালেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ২৯ মার্চ দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার মুখোমুখি হবে দল।
গত ১৮ মার্চ প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডের খেলা শেষ হওয়ার পরের দিনই হাভিয়ের কাবরেরার কোচিংয়ে প্রথম মাঠের অনুশীলনে নামে বাংলাদেশ। তিন দিনের প্রস্তুতি সেরে মঙ্গলবার মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেবে দল।
এই তিন দিনে নতুন কোচের কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন খেলোয়াড়রা। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জামাল বললেন, দলের বদলে যাওয়াটা দেখা যাবে মালদ্বীপ ম্যাচেই।
“তিন মাসে তিনি অনেক কাজ করেছেন, অনেক খেলা দেখেছেন। কাবরেরা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে, কীভাবে তিনি কাজ করতে চান এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগের কোচদের কৌশল থেকে অবশ্য কিছু পরিবর্তন আছে। আশা করি, এই পরিবর্তন আপনারা মালদ্বীপ ম্যাচে দেখতে পাবেন।”
“অবশ্যই দুই ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই ম্যাচে কোচ আমাদের পরখ করবেন, ম্যানেজমেন্ট আমাদের খেলা দেখবে। খেলোয়াড়দের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেকদিন পর আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি। লক্ষ্যটা আগামী জুনের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর দিকেই, তবে আমরা এই দুই ম্যাচকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।”
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলি আশফাককে পাচ্ছে না মালদ্বীপ। চোটের কারণে দলের বাইরে আছেন এই ফরোয়ার্ড। জামাল অবশ্য ওসব নিয়ে ভাবছেন না। কলম্বোর জয়ের পূনরাবৃত্তি তিনি চান মালেতে। ২০০৩ সালে ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জয়ের ১৮ বছর পর কলম্বোয় মালদ্বীপকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
“মালদ্বীপ স্কোয়াডের কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে কোচ কথা বলেছেন। কে তাদের সেরা খেলোয়াড়, কে দূর্বল, তাদের কথা বলেছেন। আলি আশফাক মালদ্বীপের সেরা খেলোয়াড়। তবে সবশেষ যে ম্যাচে তাদেরকে হারিয়েছিলাম, সে ম্যাচেও সে ছিল। আমি মনে করি, সে খেললেও আমাদের ডিফেন্ডাররা তাকে আটকাতে পারবে।”
“অবশ্যই আমরা মালদ্বীপকে তাদের মাটিতে হারিয়ে রেকর্ড করতে চাই। সবশেষ টুর্নামেন্টেও তো বলা হয়েছিল আমরা মালদ্বীপকে ১৮ বছর ধরে হারাতে পারি না। আমরা কিন্তু ঠিকই জয় পেয়েছি।”