গত ফেব্রুয়ারিতে আতলেতিকোর মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে দুই দলের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার পর গোলের অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় মাদ্রিদের দলটি। তাদের দুটি প্রচেষ্টা বাধা পায় ক্রসবারে। প্রায় পুরো ম্যাচে বাজে খেলার পর শেষ দিকে লক্ষ্যে একমাত্র শট থেকে সমতা টেনেছিল ইউনাইটেড।
এবার গ্রিজমানদের সামনে চ্যালেঞ্জ প্রতিপক্ষের মাঠে জয় তুলে নেওয়ার। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ২টায়।
ফিরতি লেগকে সামনে রেখে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সিমেওনে বলেন, আক্রমণাত্মক খেলেই ইউনাইটেডকে চেপে ধরতে চান তারা।
“দারুণ এক স্টেডিয়ামে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ হতে হতে যাচ্ছে।”
এই ম্যাচে পাদ্রপ্রদীপের আলোয় থাকবেন দুই দলের দুই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স।
গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা রোনালদোর ওপরই অনেকটা নির্ভর করবে ইউনাইটেডের ভাগ্য। অন্যদিকে, পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের জাতীয় দলের সতীর্থ ফেলিক্স সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আতলেতিকোর হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে করেছেন পাঁচ গোল।
প্রথম লেগে ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেওয়া ২২ বছর বয়সী ফেলিক্স আবারও দারুণ কিছু করে দেখাতে পারবেন বলে আশাবাদী সিমেওনে।
“ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের বিচারে ফেলিক্স খুব দারুণ খেলোয়াড়, দলগতভাবেও সে খুব গুরুত্বপূর্ণ আর এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপারে। আমাদের দলের যা প্রয়োজন সেটা তার মধ্যে আছে।”
ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় ইংলিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিমেওনের দলের দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চেলসি ও লিভারপুলের বিপক্ষে জয়। তবে ৫১ বছর বয়সী এই কোচ মনে করেন, অতীত অভিজ্ঞতার প্রভাব পড়বে না ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে।
“প্রতিটি ম্যাচই আলাদা। এটা সত্যি যে আমরা অতীতে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে তাদের স্টেডিয়ামে খেলেছি এবং জিতেছি। কিন্তু আমরা প্রতিপক্ষের স্টেডিয়ামের আবহে ও ভক্তদের উপস্থিতিতে তাদের গুরুত্ব ও শক্তি সম্পর্কে জানি।”