প্রতিপক্ষের মাঠে লা লিগার ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। ভিনিসিউসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দুবার জালে বল পাঠান বেনজেমা।
দারুণ এই জয়ে সেভিয়ার চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে গেল রিয়াল। ২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট হলো ৬৬। সমান ম্যাচে সেভিয়ার পয়েন্ট ৫৬।
পিএসজির বিপক্ষে ৩-১ গোলের রোমাঞ্চকর জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা রিয়াল পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু ভিনিসিউসের পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে বেনজেমার নেওয়া শট হাত বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। কয়েক সেকেন্ড পর বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফেরলঁদ মঁদির শট পাশের জাল কাঁপায়।
খেলার ধারার বিপরীতে একাদশ মিনিটে বিপদে পড়তে বসেছিল রিয়াল। তবে দূর থেকে সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি স্বাগতিক ফরোয়ার্ড ভেদাত মুরিখি।
বেশ কিছুটা সময় দুই দলের অগোছালো ফুটবলের পর ৩৫তম মিনিটে প্রথম নিশ্চিত সুযোগটি পায় মায়োর্কা। রিয়াল ডিফেন্ডার ডি-বক্সে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে শট নেন পাবলো মাফেয়ো, কিন্তু তার নিচু শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পোস্টে বাধা পায়।
মাঝে মধ্যে গতিতে ভীতি ছড়ানো ভিনিসিউস সাত মিনিট পর ভালো সুযোগ পান। বেনজেমার দারুণ পাস ডি-বক্সে পেয়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, স্লাইড করে ঠেকিয়ে দেন ডিফেন্ডার মাফেয়ো।
আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ১৪তম গোল।
৬৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার রাইলোর ট্যাকলে পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পান রদ্রিগো। কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে কোনোমতে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বদলি নামেন মার্কো আসেনসিও।
৭৭তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা। ডি-বক্সে ভিনিসিউস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। পাঁচ মিনিট পরই বদলি ডিফেন্ডার মার্সেলোর ক্রসে দারুণ হেডে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর ভালো একটি সুযোগ পায় মায়োর্কা। তবে থিবো কোর্তোয়ার বাধা ভাঙতে পারনি তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এই দারুণ জয়, আগামী সপ্তাহে ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়ার আগে নিশ্চিতভাবেই আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে রিয়াল।
তবে, রদ্রিগোকে হারালে সেটা বড় একটা ধাক্কাই হবে দলটির জন্য।