চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকে রোনালদো খুব একটা খারাপ যে করছেন, তা নয়। কিন্তু নিজের মানদণ্ড এতোটাই উঁচুতে নিয়ে গেছেন যে কয়েক ম্যাচে তিনি গোল না পেলেই অনেকের কাছে সেটা ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য হয়।
গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও রোনালদোর ফর্ম, চোট ও ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জণ মিলিয়ে প্রশ্ন ওঠে, রোনালদোকে ছাড়াই ইউনাইটেড দল হিসেবে তুলনামূলক ভালো কি-না।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ওই ম্যাচের আগের ১০ ম্যাচে মাত্র একবার জালের দেখা পেয়েছিলেন রোনালদো। ওই সময়ে নামের পাশে ছিল না কোনো অ্যাসিস্টও। কয়েকটি ম্যাচে তাকে ‘বাদ’ও দিয়েছিলেন কোচ রালফ রাংনিক।
সমালোচকদের জবাব মাঠেই দিয়েছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। তার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টারের দলটি, যা ছিল রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৪৯তম হ্যাটট্রিক। এই নিয়ে টানা ১৩ মৌসুমে অন্তত একটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
রোনালদো না থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ইউনাইটেড এরই মধ্যে বিদায় নিত বলে দ্য মিররের সঙ্গে গত রোববারের আলাপচারিতায় মন্তব্য করেন ফার্ডিনান্ড।
“ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকতে পারতো না।”
“তাকে ছাড়া ইউনাইটেড শক্তিশালী দল কি-না? আমি এটার সঙ্গে মোটেও একমত হতে পারছি না। সে যদি ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে না খেলত তাহলে তারা ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিত।”
ফার্ডিনান্ড মনে করেন, রোনালদোর ধার কমলেও তিনি এখনও বড় মঞ্চে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
“ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড এমন কোনো শক্তিশালী দল নয়, যারা ভাবতে পারে, ‘ঠিক আছে, আমরা এতোটাই ভালো দল যে তার মতো একজনকে বাদ দিতেই পারি।’”
গত অগাস্টে ইউভেন্তুস থেকে ইউনাইটেড যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১২ গোল করে সাদিও মানের সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে আছেন রোনালদো। ২০ গোল নিয়ে শীর্ষে মোহামেদ সালাহ।
ইউনাইটেডে দ্বিতীয় মেয়াদে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩১ ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন রোনালদো। এই সময়ে দলটির যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে যা দ্বিগুণ।