ঘরের মাঠে রোববার লিগ ওয়ানের ম্যাচে বোর্দোর বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়ার দিনে অবশ্য গোল পেয়েছেন নেইমার। তাদের আরেক গোলদাতা লেয়ান্দ্রো পারেদেস।
গোল পেতে পারতেন মেসিও। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার শট লাগে পোষ্টে।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে লিগ ওয়ানে নিসের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল প্যারিসের দলটি।
বল দখলে এগিয়ে থাকলেও পিএসজি ভুগছিল পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে। ২১তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক উড়িয়ে মারেন নেইমার। এর দুই মিনিট পরই এগিয়ে যায় তারা।
মেসি ডি-বক্সের বাইরে খুঁজে নেন জর্জিনিয়ো ভেইনালডামকে। এই ডাচ মিডফিল্ডারের পাস বক্সের ভেতরে পেয়ে এমবাপের শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
রিয়ালের মাঠেও দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল হজম করেছিল তারা, যেটির শুরুটা হয়েছিল দোন্নারুম্মার একটি ভুল থেকে।
চলতি লিগ ওয়ানে ২৪ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ১৫টি। প্রথমার্ধে এই একটিই ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারে পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। এই গোলেও অবদান আছে মেসির। আর্জেন্টাইন তারকার থ্রু বল বক্সের ভেতর খুঁজে পায় আশরাফ হাকিমিকে। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের পাসে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৫৬তম মিনিটে বোর্দোর ডি-বক্সে ভেইনালডাম ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক নিতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন এমবাপে। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন রেফারি। আক্রমণের শুরুতে নেইমার অফসাইডে ছিলেন।
৬১তম মিনিটে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-০। বক্সের ভেতর এমবাপের পাসে প্রতিপক্ষের বাধায় শট নিতে পারেননি নেইমার। সফরকারীরা পারেনি বল ক্লিয়ার করতে। দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পারেদেস।
৭৯তম মিনিটে বোর্দোর একজন প্রতিপক্ষের মার্কিনিয়োস ও প্রেসনেল কিম্পেম্বের বাধায় ডি-বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে সফরকারীরা। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। টিভি ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, পেনাল্টি দেওয়া উচিত ছিল এটি।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে মেসির। বক্সের বাইরে থেকে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের দারুণ শট পোষ্টে লেগে ফেরে। ব্যবধান তাই আর বাড়েনি।
প্রতিটি গোলের পর ডাগআউটে কোচ পচেত্তিনোর নির্বিকার মনোভাবও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নিস।
২৭ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মার্সেই। তাদের সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চারে রেন।