চূড়ায় ওঠার হ্যাটট্রিকে উচ্ছ্বসিত রোনালদো

প্রথম গোলে রেকর্ড ছোঁয়া, পরেরটিতে ছাড়িয়ে যাওয়া। পরে আরেকটি গোলে পা রাখা নতুন উচ্চতায়। ইতিহাসের চূড়ায় পৌঁছে যাওয়ার ম্যাচে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, সেই তিন গোলেই দলের দারুণ জয়। সোনায় সোহাগা বুঝি একেই বলে! প্রাপ্তিতে টইটম্বুর ম্যাচ যেন ক্রিস্তিয়ানে রোনালদোর জন্য। পূর্ণতায় ভরা ম্যাচ শেষে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশেও তিনি বাঁধনহারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2022, 07:02 AM
Updated : 13 March 2022, 09:22 AM

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে শনিবার টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৩-২ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তিনটি গোলই করেন রোনালদো।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের জয়ের ব্যাপার তো আছেই, রোনালদোর জন্য ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে অসাধারণ ব্যক্তিগত অর্জনের কারণেও। ফুটবল ইতিহাসেও আলাদা জায়গা নিয়ে থাকবে ম্যাচটি। এই তিন গোলের পথেই যে ফুটবল ইতিহাসের সফলতম গোলস্কোরার হয়ে গেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা!

অফিসিয়াল ক্যারিয়ার গোলের হিসেবে আগে থেকেই সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো। তবে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে পুরুষ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড নিয়ে আলাদা একটা সমীকরণ বরাবরই রয়ে গেছে। আনঅফিসিয়াল পরিসংখ্যানবিদদের সংগঠন ‘আরএসএসএফ-এর মতে, অস্ট্রিয়া ও তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার সাবেক স্ট্রাইকার ইয়োসেফ বিকানের গোল ৮০৫টি। রোনালদো এবার টপকে গেলেন তাকেও।

এ দিন দুর্দান্ত গোলে বিকানকে স্পর্শ করেন রোনালদো। ২৫ গজ দূর থেকে তার গোলা আশ্রয় নেয় জালে। পরের গোলে শুধুই নিজের করে নেন রেকর্ড। এরপর আরেকটি গোলে শুরু হয় রেকর্ড সংহত করার পালা।

রোনালদো নিজে আলোড়িত তার হ্যাটট্রিকে। ইউনাইটেডে ফেরার পর তার প্রথম হ্যাটট্রিক এটি। এই জার্সিতে তার সবশেষ হ্যাটট্রিক ছিল ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে।

ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠল তার অনুভূতির ছবি, সেখানে অবশ্য দলের চেহারাই বেশি স্পষ্ট।

“ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফেরার পর আমার প্রথম হ্যাটট্রিকে আমি দারুণ খুশি। মাঠে নেমে গোল করা ও দলকে সহায়তার চেষ্টা করার অনুভূতির কোনো তুলনা হয় না।”

“আমরা আবারও প্রমাণ করেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি এবং একতাবদ্ধ থাকতে পারছি, নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারাতে পারি আমরা। ম্যান ইউনাইটেড কোনো সীমায় আবদ্ধ নয়। যতকিছুই হোক, এগিয়ে চলো!”