শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই ভারত যাচ্ছে মেয়েরা

বয়সের দিক থেকে পুরান ফরম্যাটে ফিরছে প্রতিযোগিতাটি। গতবার অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সীদের নিয়ে হওয়া মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে। বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকছে আগের মতোই-চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2022, 02:10 PM
Updated : 10 March 2022, 02:38 PM

ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে মাত্র তিন দল-ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল। শ্রীলঙ্কা ও ভুটান অংশ নিচ্ছে না।

শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের অংশ না নেওয়া নিয়ে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানালেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণের কথা।

“করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে শ্রীলঙ্কা দল গড়তে পারেনি। তাদের মেয়েদের এখন পরীক্ষা চলছে। তারা চেয়েছিল এপ্রিলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। এদিকে ভুটানেও কিছু সমস্যা থাকায় তারা অংশ নিচ্ছে না।”

মাত্র তিন দলের টুর্নামেন্ট হওয়ায় কিছুটা ‘হোম-অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে হবে খেলা। প্রতিটি দলই দুবার করে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন।

এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ২৩ জনের দল দিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। আগামী শনিবার ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে দল।

১৭ মার্চ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করবে বাংলাদেশ। ১৯ মার্চের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। ফিরতি লেগে ২৩ মার্চ নেপাল ও ২৫ মার্চ ভারতের মুখোমুখি হবে ছোটনের দল।

গত বছর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সীদের নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

এর আগে ২০১৮ সালে ভুটানে অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সীদের নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায়ও সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল দল।

এবার জামশেদপুর থেকেও ট্রফি নিয়ে ফেরার আশাবাদ জানালেন জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক শামসুন্নাহার।

“আমাদের লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ বাই ম্যাচ জেতা এবং ভালো খেলা। সবাই দোয়া করবেন, আমরা যেন ভালো কিছু নিয়ে দেশে ফিরতে পারি। এই আসরেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

গোলরক্ষক রুপনা চাকমাও ‍সুর মেলালেন সতীর্থের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের অনুপস্থিতি নিয়ে ভাবছেন না তিনি।

“আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি, আমার মনে হয় আমাদের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। কে নেই, সেটা বিষয় নয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব।”

বাংলাদেশ দল: রুপনা চাকমা, ইয়াসমিন আক্তার, ইতি খাতুন, আফিদা খন্দকার, কোহাতি কিসকু, শামসুন্নাহার, সোহাগী কিসকু, ইতি খাতুন, নাসরিন আক্তার, আনিকা তানজুম, জয়নব বিবি রিতা, হালিমা আক্তার, রেহেনা আক্তার, স্বপ্না রানী, মাহফুজা খানম, নৌশন জাহান, শাহেদা আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন, সুরমা জান্নাত, উন্নতি খাতুন, লুৎফরা আক্তার লিমা, নাবিরান খাতুন ও মোছা: রুপা।