অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার। তবে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে পরের ধাপে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
পুরো ম্যাচে দারুণ কিছু সুযোগ পেলেও ভাগ্যের সহায়তা না পাওয়ায় জালের দেখা পায়নি লিভারপুল। সালাহর দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লাগে। প্রথমার্ধে জোয়েল মাতিপের একটি হেড ক্রসবারে বাধা পায়।
৬১তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন লাউতারো মার্তিনেস, এই প্রতিযোগিতায় ২০২০ সালের নভেম্বরের পর এটা তার প্রথম গোল।
ওই গোলের দুই মিনিটের মধ্যে আলেক্সিস সানচেস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের ফলে পরিণত হয় ইন্টার। বাকি সময়ে তাদের চেপে ধরলেও ম্যাচে আর ফেরা হয়নি ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের।
২০২১ সালের ৭ মার্চের পর অ্যানফিল্ডে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল লিভারপুল। মাঝে ঘরের মাটিতে ২৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল দলটি। চলতি মৌসুমে এটি লিভারপুলের তৃতীয় হার।
হেরে গেলেও ইন্টারের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে প্রাপ্তি খুঁজে পাচ্ছেন সালাহ। বিটি স্পোর্টকে মিশরের এই ফরোয়ার্ড বলেন, সামনের পথচলায় এই ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন তারা।
“তারা কঠিন প্রতিপক্ষ। অ্যাওয়ে ম্যাচেও তারা খুব ভালো খেলেছে। শুরুতে আমাদের ধুঁকতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে আমরাই এগিয়ে ছিলাম।”
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা (কোয়ার্টার-ফাইনালে) উঠেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দল (পরের রাউন্ডে) যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা একটি ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু এটি ভালো ম্যাচ ছিল এবং আমরা এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারি।
ম্যাচের আগে ক্লপ বলেছিলেন, প্রথম লেগের পরই কাজ শেষ, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। ফিরতি লেগে তারা এই ভুলেরই মাশুল দিতে বসেছিল বলে মনে হচ্ছে সালাহর।
“হয়তো আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। জয় সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আজ রাতে আমরা পোস্টে দুবার শট মেরেছি এবং সুযোগ নষ্ট করেছি।”
“এমনটা অবশ্য হতেই পারে। ভালো দিক হলো এটি প্রিমিয়ার লিগে হয়নি এবং আমরা (কোয়ার্টার-ফাইনালে) উঠেছি। সবাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ জিততে চায়, তাই আমরা দুটি শিরোপার জন্যই লড়ব, দেখা যাক কী হয়।”