এলচেকে হারিয়ে তিনে বার্সেলোনা

টানা তিন ম্যাচে চারটি করে গোল করা বার্সেলোনাকে এবার ফিনিশিংয়ে কিছুটা ভুগতে দেখা গেল। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ায় হোঁচট খাওয়ার শঙ্কাও জাগল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই বদলি খেলোয়াড়ের গোলে প্রত্যাশিত জয়ই পেল শাভি এরনান্দেসের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2022, 05:11 PM
Updated : 6 March 2022, 06:06 PM

এলচের মাঠে রোববার লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ফিদেল চাভেসের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন ফেররান তরেস। আর শেষ দিকে বদলি নামার ১০ মিনিটের মধ্যে জয়সূচক গোলটি করেন মেমফিস ডিপাই।

লা লিগায় এই নিয়ে টানা তৃতীয় ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে কাতালান ক্লাবটি। জমজমাট লড়াইয়ে জিতে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠেছে তারা।

বিলবাওয়ের বিপক্ষে বদলি নেমে দুর্দান্ত এক গোল করার পুরস্কারস্বরূপ শুরুর একাদশে ফেরেন দেম্বেলে। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা আসে ফরাসি ফরোয়ার্ডের হাত ধরেই। তার ছয় গজ বক্সে বাড়ানো ক্রসে অবামেয়াংয়ের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ডিফেন্ডার এনজো রোকো।

২৭তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও অনেকটা হেলায় হারায় বার্সেলোনা। ছয় গজ বক্সের বাঁ দিক থেকে দেম্বেলের শট গোলরক্ষক লাফিয়ে ঠেকালেও হাতে বল রাখতে পারেননি। আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের নেওয়া শট গোললাইনে ঠেকান ডিফেন্ডার দিয়েগো গনসালেস।

প্রথম ৩০ মিনিটে প্রতিপক্ষের চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণে ওঠে এলচে। ৩৭তম মিনিটে তারাও নিশ্চিত সুযোগ পায়। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মারেন তেতে মরেন্তে।

সাত মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফিদেল চাভেস। ঝাঁপিয়ে দূরের পোস্টে যাওয়া বলের নাগাল পাননি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।

প্রথমার্ধে গোলের উদেশ্যে তাদের চার শটের ওই একটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, বার্সেলোনা ১০ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে পারেনি কিছু।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিটেও আরও দুটি ভালো আক্রমণ করে বার্সেলোনা। কিন্তু মেলেনি সাফল্য। অবশেষে ৬০তম মিনিটে সমতা টানেন ফেররান।

ডান দিক থেকে দেম্বেলের দারুণ ক্রসে ছোট টোকায় বল সামনে বাড়ান জর্দি আলবা। আর অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গোলমুখে আলতো এক ছোঁয়ায় বলের দিক পাল্টে দেন ফেররান। জানুয়ারির দলবদলে কাম্প নউয়ে আসা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের এটি বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় প্রথম গোল।

চার মিনিট পর আবারও পিছিয়ে পড়তে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে ডি-বক্সে বিনা বাধায় পেরে মিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দলকে সমতায় রাখেন টের স্টেগেন।

এলচের ওই এক শটের আগে পরে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে গাভির বদলি নামা ফেররানের হ্যাটট্রিক হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তার দারুণ দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এদগার বাদিয়া।

৮৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে জয়সূচক গোলটি করেন মেমফিস। ডি-বক্সে আন্তোনিও বারাগানের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা।

মরিয়া হয়ে শেষ দিকে প্রবল চাপ তৈরি করে এলচে। বার্সেলোনার ডি-বক্সে প্রথমে জর্দি আলবা ও যোগ করা সময়ে সের্হিও বুসকেতসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে তারা। রেফারির সাড়া অবশ্য মেলেনি।

উল্টো পেনাল্টি না পাওয়ার হতাশায় রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এলচের সাইডলাইনে থাকা মিডফিল্ডার হাভিয়ের পাস্তোরে।

যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে গোল প্রায় করেই ফেলেছিল এলচে। তবে গিদো কারিয়োর হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন টের স্টেগেন। 

২৬ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে রিয়াল বেতিস।

২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া।