অ্যানফিল্ডে শনিবার লিগ ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। জয়সূচক গোলটি করেন সাদিও মানে।
আসরে প্রথম দেখায় গত নভেম্বরে ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। এবারের লিগে সেটাই ছিল তাদের প্রথম পরাজয়। খুব কষ্টে এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল ক্লপের শিষ্যরা।
আগের মতোই শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির ৩ পয়েন্ট পেছনে রইলো লিভারপুল। ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৬ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৬৩। সমান ম্যাচে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের পয়েন্ট ৬৬।
ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিট পেরোতেই অতর্কিত আক্রমণে দারুণ সুযোগ পেয়ে যান সালাহ। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে তার শট পা বাড়িয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ডি-বক্সে আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়েও ভারসাম্য হারিয়ে নষ্ট করেন মিশরের এই স্ট্রাইকার।
চতুর্দশ মিনিটে লিভারপুল শিবিরে ভীতি ছড়ায় মিখাইল আন্তোনিও। ইংলিশ উইঙ্গারের জোরাল শট দুই হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান আলিসন।
৩৭তম মিনিটে লিভারপুলের লুইস দিয়াসের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও গোললাইনে প্রতিহত হয়।
দুই মিনিট পর বড় বাঁচা বেঁচে যায় তারা। পাবলো ফোরনালস ওয়ান-অন-ওয়ানে আগুয়ান আলিসনের ওপর দিয়ে চিপ করলেও গোললাইনে ঠেকিয়ে দেন অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ড। ফিরতি বলে ফোরনালসের হেড ঠেকান আলিসন, এরপর নিকোলা ভ্লাসিচের শট রুখে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ড।
পুরো ম্যাচেই বল দখলে পিছিয়ে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম প্রথমার্ধে আক্রমণে ছিল সমানে-সমান। লক্ষ্যে শট নেওয়ার দিক থেকে তারাই বরং এগিয়ে ছিল। কিন্তু বিরতির পর তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
৭০তম মিনিটে দলটি এই অর্ধে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। কিন্তু ছয় গজ বক্সের বাইরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়েও উড়িয়ে মারেন লানসিনি।
দিনের আরেক ম্যাচে বার্নলির মাঠে ৪-০ গোলে জয়ী চেলসি ২৬ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। এক ম্যাচ বেশি খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে। তার পরেই ওয়েস্ট হ্যামের পয়েন্ট ৪৫, ২৮ ম্যাচে।