বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শনিবার ২-০ গোলে জিতেছে অস্কার ব্রুসনের দল। দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। প্রথমার্ধে বিবর্ণ থাকা মোহামেডান দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ কঠিন হয়ে যায় আরও।
স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের কাছে হেরে লিগ শুরুর পর থেকে কিংস উড়ছে। সাত ম্যাচে টানা ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্কার ব্রুসনের দল। এক ম্যাচ কম খেলা আবাহনী লিমিটেড ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
লিগ টেবিলে উপরের দিকে থাকার লক্ষ্য পূরণের সম্ভাবনা দিনকে দিন আরও কঠিন করে তুলছে মোহামেডান। টানা তিন ম্যাচ জয়হীন থাকা শন লেনের দল ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে।
একাদশ মিনিটে গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যায় কিংস। আক্রমণের শুরু বিপলু আহমেদের পাস থেকে। এরপর মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাট ব্যাকে বক্সের ভেতর থেকে মাহাদি ইউসুফের ব্যাক হিলে বল যায় সুমন রেজার পায়ে। এই ফরোয়ার্ডের নিখুঁত প্লেসিং শট পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
এরপর একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে কিংস। রিমন হোসেনের জোরাল শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। রবিনিয়ো বক্সে বল পেয়েও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নষ্ট করেন ভালো সুযোগ।
১৯তম মিনিটে রবিনিয়োর সেই জাদু। বিপলুর পাস ধরে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর আরও দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে কোনাকুনি শটে দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। অবশ্য মোহামেডানের শেষ দুই ডিফেন্ডার তেমন কোন চার্জই করেননি তাকে।
চলতি লিগে এটি রবিনিয়োর ষষ্ঠ গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তার উপরে আছেন কেবল চট্টগ্রাম আবাহনীর পিটার থ্যাঙ্কগড (৭টি)।
বিবর্ণ মোহামেডান প্রথম ভালো আক্রমণে যায় ২৫তম মিনিটে। কিন্তু ফ্রি কিকে ওবি মোনেকের হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ২০০৭ সালে প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর থেকে এর শিরোপা জিততে না পারা দলটি।
বলের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে রাজীবের ট্যাকলে পড়ে যান রবিনিয়ো। মাঠে পড়ে থাকা এই কিংস ফরোয়ার্ডের গায়ে অকারণেই জোরে বল মেরে বসেন অনিক হোসেন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান রবিনিয়ো। দুই পক্ষের মধ্যে ছড়ায় উত্তেজনা। রেফারি তিন হলুদ কার্ড এবং অনিককে লাল কার্ড দেখান।
৫৭তম মিনিটে রবিনিয়োর শট বাইরের জাল কাঁপায়। ১০ মিনিট পর বক্সে মোহামেডানের ইয়াসমিন মোসিডোনিভিকির সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে যান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রেফারি সাইমুম হাসান শুরুতে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও পরে সহকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত বদলান।
বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে তেমন একটা মরিয়া ছিল না কিংস। বরং দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু মোনেকের জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে অনায়াস জয় নিশ্চিত করেন ম্যাচ জুড়ে পোস্টের নিচে অলস সময় কাটানো আনিসুর রহমান জিকো।