রেফারিদের নিয়ে কথা বলে ক্ষমা চাইলেন জামাল

রেফারিকে ‘লাথি মারার’ অভিযোগের বিষয়টি এখনও আছে ‘ফরেনসিক তদন্তের’ টেবিলে। এর মধ্যেই রেফারিদের নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করে জামাল ভূইয়া যেন জলন্ত আগুনেই ঘি ঢালেন। তার এমন আচরণ নিয়ে রেফারিরা ক্ষোভ জানানোর পর নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন বাংলাদেশ জাতীয় দল ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক। চাইলেন ক্ষমাও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2022, 01:53 PM
Updated : 2 March 2022, 01:53 PM

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় জামাল দাবি করেন, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কোনো কথা বলেননি তিনি।

“সম্প্রতি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ম্যাচের রেফারিং সম্পর্কে আমার বক্তব্যে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমি কাউকে আমার বক্তব্যের মাধ্যমে কষ্ট দিতে চাইনি বা ছোট করতে চাইনি। তাই আমার বক্তব্যে বা আমার বিবৃতিতে কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি সে জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ধন্যবাদ।”

বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামাল অভিযোগ করেন, রেফারিরা তার সম্পর্কে মিথ্যা বলছেন।

রেফারিদের সঙ্গে জামালের এই টানাপোড়েনের শুরু গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লিগ ম্যাচ থেকে। ওই ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি গোলে জেতে শেখ রাসেল। ওই পেনাল্টি সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বাফুফেকে দেওয়া ম্যাচ কমিশনার ও রেফারির রিপোর্টে বলা হয়, ম্যাচ শেষে রেফারিকে ঘিরে ধরেন জামাল ও তার সতীর্থরা, এমনকি মাঠে ঢুকে দলটির কর্মকর্তারাও রেফারির দিকে তেড়ে যান। এক পর্যায়ে জামাল রেফারিকে লাথি মারলে, রেফারি সরে যাওয়ায় তা সহকারী রেফারি জুনায়েদ শরীফের গায়ে লাগে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাইফ স্পোর্টিংকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। চিঠির জবাবও দিয়েছিল ক্লাবটি। এ ইস্যুতে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি সাইফ স্পোর্টিং ও ক্লাবটির কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শাস্তি দিলেও জামালের বিপক্ষে অভিযোগের প্রমাণ প্রাথমিকভাবে পায়নি। পরে অধিকতর তদন্তের জন্য ‘ফরেনসিক তদন্ত’ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে, যার প্রতিবেদন এখনও আসেনি।