এক আফগানের কাছে আবাহনীর হার

লিগে প্রথম গোল পেলেন দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরা। জয়ের সূর্যও উঁকি দিল আবাহনীর আকাশে। কিন্তু এরপর সময় যত গড়াল, আকাশী-নীলদের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেল! শেষ দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও পেরে উঠল না। আফগান মিডফিল্ডার ওমিদ পোপালজাইয়ের নৈুপণ্যে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল চট্টগ্রাম আবাহনী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2022, 01:37 PM
Updated : 1 March 2022, 02:09 PM

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ৩-২ গোলে জিতেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। কলিনদ্রেস আবাহনীকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান পিটার থ্যাঙ্কগড। পরে উইলিয়াম টিওয়ালা ও পোপালজাইয়ের গোলে লিগে অজেয় যাত্রা ধরে রাখে মারুফুল হকের দল।

গত লিগে আবাহনীকে হারাতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম পর্বে ১-১ ড্রয়ের পর দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে হেরেছিল তারা। কিন্তু এবার বন্দর নগরীর দলটির কাছেই লিগে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও লেমোসের দল।

চোটের কারণে এ ম্যাচেও আক্রমণভাগের সেরা তারকা দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তোকে পায়নি আবাহনী। কিন্তু শুরুতে গোল করে কলিনদ্রেস দলকে দিয়েছিলেন স্বস্তির বার্তা। যদিও তা উবে গেছে পোপালজাইয়ের নৈপুণ্যে। চট্টগ্রাম আবাহনীর এই মিডফিল্ডার এক গোল করেন, অবদান রাখেন বাকি দুই গোলে।

ষষ্ঠ মিনিটে কলিনদ্রেসের কর্নারে রেজাউল করিমের হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। তবে পঞ্চদশ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় লিগের রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।

নিজেদের বক্সের একটু উপর থেকে আবু সাইদের লং পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন কলিনদ্রেস। দুরূহ কোণ থেকে নিখুঁত শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কোস্টা রিকার এই ফরোয়ার্ড।

২০তম মিনিটে সমতায় ফিরে চট্টগ্রাম আবাহনী। পোপালজাইয়ের কর্নারে পিটার থ্যাঙ্কগডের হেড দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ৭ গোল নিয়ে লিগের গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে পিটার।

৩৪তম মিনিটে পোপালজাইয়ের ক্রসে জাহিদ হোসেনের শট শুয়ে পড়ে ফেরান সোহেল। চার মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে বক্সে ঢুকে বুলেট গতির শটে দলকে এগিয়ে নেন টিওয়ালা। এ আক্রমণের সুরটাও বেধে দিয়েছিলেন পোপালজাই।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাইদের শট দূরের পোস্টের বাইরে গেলে পিছিয়ে থাকার অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীকে আর পাওয়া যায়নি চেনা আগ্রাসী রূপে। বরং ৬৩তম মিনিটে গোল হজম করে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। সোহেল রানার থ্রু পাসে নাবীব নেওয়াজ জীবনের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। কর্নার ক্লিয়ার করার পরই পাল্টা আক্রমণে উঠে সোহেলের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন পোপালজাই।

৮৮তম মিনিটে জুয়েল রানার ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে বাইসাইকেল কিকে দারুণ এক গোল উপহার দেন আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগাস্তো দি সিলভা। ম্যাচে প্রাণ ফিরে।

কিন্তু ছয় মিনিটের যোগ করা সময়ের শেষ দিকে কলিনদ্রেসের শট ঝাঁপিয়ে আজাদ হোসেন গ্লাভসে জমালে দারুণ জয় নিশ্চিত হয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর।

ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ১৬।