ক্রুসিয়ানির দাবি, গত ২৪ ফেব্রুয়ারিও বাজে রেফারিংয়ের শিকার হয়েছিল তার দল। সেটা নিয়েই একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকারে উগড়ে দিয়েছিলেন ক্ষোভ।
বাফুফে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রিমিয়ার লিগ পরিচালনাকারী রেফারি সম্পর্কে ক্রুসিয়ানি ‘বিরূপ মন্তব্য’ করেছেন এবং তা বাফুফের আচরণবিধি পরিপন্থী। এ কারণে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এর পুরাবৃত্তি না করতে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
চলতি লিগের আগেও রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সাইফ স্পোর্টিং। রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। চলতি লিগেও রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে দলটি। খোদ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে কিছু সিদ্ধান্ত যাওয়ার কথা বলেছেন।
ম্যাচ কমিশনার ও রেফারির রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, ম্যাচ শেষে রেফারিকে ঘিরে ধরেন সাইফ স্পোর্টিং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও তার সতীর্থরা, এমনকি মাঠে ঢুকে দলটির কর্মকর্তারাও রেফারির দিকে তেড়ে যান। এই অভিযোগের বিষয়টি বর্তমানে আছে ফরেনসিক তদন্তের টেবিলে।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ৩-৩ ড্র ম্যাচে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিটার থ্যাঙ্কগডের পেনাল্টি গোল নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শোয়েব মিয়ার ক্রস বক্সে আবিদ মিয়ার হাতে লাগায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি মিজানুর রহমান। যদিও ভিডিও রিপ্লেতে আবিদের হাতে বল লাগার স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে সাইফের কোচ, খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি।
এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে মাঠের পাশেই থাকা ম্যাচ কমিশনারের টেবিলে ক্রুসিয়ানিকে সজোরে চাপড় দিতেও দেখা যায়। ওই ম্যাচের দুদিন পর একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দেন ২০০৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা এই আর্জেন্টাইন। ‘বাংলাদেশে আগে এমন রেফারিং দেখিনি’, বলে মন্তব্য করেন তিনি।