দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে প্লে-অফের ফিরতি লেগে ৪-২ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় ওঠে বার্সেলোনা।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা কতটা ছন্দহীন, এটা বোঝাতে সহজ একটা পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। সাবেক কোচ রোনাল্ড কুমানের কোচিংয়ে ২০২১-২২ মৌসুমের প্রথম আড়াই মাসে কখনোই টানা দুই জয়ের স্বাদ পায়নি দলটি। গত নভেম্বরে শাভি দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই মাসে তারা লা লিগায় টানা দুই ম্যাচ জিতলেও মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেনফিকার মাঠে করে ড্র।
নতুন বছরে পা রেখে অবশেষে টানা জয়ের দেখা পায় কাতালান ক্লাবটি। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে-পরে লিগে তারা হারায় আলাভেস ও আতলেতিকো মাদ্রিদকে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আতলেতিকোর মাঠে শাভির দলের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। অনেকটা সময় একজন কম নিয়েও তারা ম্যাচটি জিতে যায় ৪-২ গোলে। এরপর আবার ছন্দপতন।
তবে সেই ম্যাচেই ছিল সত্যিকারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত। যার প্রমাণ মিলল এই সপ্তাহে। গত রোববার লা লিগায় ভালেন্সিয়ার মাঠে ৪-১ গোলের দারুণ জয়ের পর এবার ইউরোপের মঞ্চে নাপোলির মাঠে ৪-২ গোলের দুর্দান্ত জয়।
এই দুই জয়ে বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় স্বস্তি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারা। ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর নাপোলির বিপক্ষেও জালের দেখা পান গত মাসে দলে আসা পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। এই দুই ম্যাচেই গোল করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। সঙ্গে স্কোরলাইনে দুই ডিফেন্ডার জর্দি আলবা ও জেরার্দ পিকের নাম থাকাটাও দলের জন্য দারুণ কিছু।
ম্যাচ শেষে দলের সবার মুখে স্বাভাবিকভাবেই ছিল খুশির ঝিলিক।
“বার্সার যেভাবে খেলা উচিত, অনেক দিন ধরেই তারা সেভাবে লড়াই করতে পারছে না। তবে এখন আমরা আমাদের মৌলিকত্বে ফিরেছি, যেভাবে আমাদের সবসময় খেলা উচিত, সেভাবে খেলা সম্ভবত আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।”
“এই পারফরম্যান্স আমাদের জন্য বার্তা এবং অন্যদের জন্যও। একটু একটু করে আমরা চেনা রূপে ফিরছি।”
নতুন শুরুর জানান দেওয়া বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার, লা লিগায় তারা ঘরের মাঠে আথলেতিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হবে।