'যুক্তরাষ্ট্র অবসরের জায়গা নয়', নেইমারের মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ এমএলএস

কিংবদন্তি পেলে ক্যারিয়ারে শেষলগ্নে পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। একালের তারকা ফুটবলারদের একজন ডেভিড বেকহ্যামও তার পড়তি বেলায় পা রেখেছিলেন মেজর সকার লিগে। এখন যেমন খেলছেন গনসালো হিগুয়াইন। তাদের মতো নেইমারও অবসর নেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলতে চান। তবে পিএসজি তারকার এমন মন্তব্য মোটেও ভালো লাগেনি এমএলএস কমিশনার ডন গ‍্যারবার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2022, 12:18 PM
Updated : 24 Feb 2022, 12:18 PM

সম্প্রতি ফেনোমেনোস পডকাস্টে কিংবদন্তি স্ট্রাইকার ‘ফেনোমেনন’ রোনালদোর সঙ্গে আলাপচারিতায় নেইমার বলেন, ক্যারিয়ার শেষের আগে এক মৌসুমের জন্য হলেও খেলতে চান যুক্তরাষ্ট্রের লিগে। কারণ হিসেবে মজার ছলে উল্লেখ করেন, ওখানকার লিগ মৌসুম ছোট হওয়ায় অতিরিক্ত তিন মাস ছুটি পাওয়ার বিষয়টি।

পিএসজির সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ নেইমার আরও জানান, বুটজোড়া তুলে রাখার আগে তার ব্রাজিলে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এমএলএসে খেলা নিয়ে নেইমারের মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ‍্যারবার সাংবাদিকদের বলেন, ক্যারিয়ারের শেষের দিকে থাকা বড় তারকাদের এই লিগে চান না তারা।

“ক্যারিয়ারের শেষের দিকে থাকা কোনো বড় তারকাকে আমাদের লিগে আনার দরকার নেই। কারণ ওই খেলোয়াড়রা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে তারা এমএলএস থেকে অবসর নিতে চায়।”

গ‍্যারবারের চাওয়া, তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের ক্যারিয়ারের শুরু বা শীর্ষে পর্যায়ে থাকা অবস্থায় যেন এমএলএসকে বেছে নেন।

উদাহরণস্বরূপ তারকা ফরোয়ার্ড জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের কথা বলেন গ্যারবার।

২০১৯ সালে ৩৮ বছর বয়সে এমএলএসের দল লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি ছেড়ে এসি মিলানে যোগ দেন তিনি। গ‍্যারবারের মতে, ওই সময়ে সুইডিশ ফরোয়ার্ডের ইতালিতে খেলতে যাওয়া নিয়ে কেউই অবসরের প্রসঙ্গ টানেনি। কিন্তু একই বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে কেউ খেলতে এলে সেটা অবসরের মাধ্যম হিসাবেই গণ্য করা হয়।

“সত্যি বলতে আমি এতে (নেইমারের মন্তব্যে) অপমানিত হয়েছি। কারণ যে বয়সে জ্লাতান মিলানে ফিরে গেছে, যদি ওই বয়সে সে এখানে খেলতে আসত, তাহলে তার দিক থেকে এটা অবসর নেওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে ধরে নেওয়া হতো।”

“এমএলএসে তাকে তার সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে হয়েছে এবং সেরি আয়ও সে নিজের সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়ছে। তাই কেন যে আমাদেরকে ভিন্নভাবে দেখা হয়, আমি নিশ্চিত নই। তবে এমনটাই হয়ে আসছে।”