মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের ম্যাচটি ৩-৩ সমতায় শেষ হয়েছে।
টানা দুই হারের পর পয়েন্ট পেল সাইফ স্পোর্টিং। পাঁচ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির দলের। তৃতীয় ড্র করা চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ৯।
সাজ্জাদ হোসেনের দৃষ্টিনন্দন গোলে পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় সাইফ। আসরোর গফুরভের লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নেন সাজ্জাদ। এরপর বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। ২৯তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে এমেরি বাইসেঙ্গের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। এরপর সতীর্থের কাটব্যাকে নিহাদ জামান উচ্ছ্বাস শট নিতে পারেননি, তার পেছনে থাকা সাজ্জাদের শট যায় পোস্টের বাইরে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিটার থ্যাঙ্কগডের আলোচিত পেনাল্টি গোলে সমতায় ফিরে চট্টগ্রাম আবাহনী। শোয়েব মিয়ার ক্রস বক্সে আবিদ মিয়ার হাতে লাগায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি মিজানুর রহমান। যদিও ভিডিও রিপ্লেতে আবিদের হাতে বল লাগার স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে সাইফের কোচ, খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি।
মেজাজ হারিয়ে ক্রুসিয়ানি ম্যাচ কমিশনারের টেবিলে চাপড়ও দেন! বিরতির বাঁশি বাজার পর এই আর্জেন্টাইন কোচ পেনাল্টির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে ঢুকে যান মাঠে।
৫৮তম মিনিটে গফুরভকে বক্সে চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার কেহিন্দে ইসা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাইফ। এমেকা ওগবাহ নিখুঁত স্পট কিকে দলকে ফের এগিয়ে নেন।
একটু পরই সাজ্জাদের থ্রু পাস ধরে ওহবাহর আড়াআড়ি ক্রসে পা ছোঁয়ানোর মতো কেউ ছিল না গোলমুখে। ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় সাইফের।
প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬৬তম মিনিটে সমতায় ফিরে চট্টগ্রাম আবাহনী। সোহেল রানার থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক মিতুল হোসেনকে একা পেয়ে যান পিটার। স্লাইডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন মিতুল, কিন্তু টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
৭৮তম মিনিটে বক্সে কৌশিক বড়ুয়ার হাতে বল লাগলে আবার পেনাল্টি পায় সাইফ। বলের লাইনে ঝাঁপ দিলেও ওগবাহর শট আটকাতে পারেননি চট্টগ্রাম আবাহনী গোলরক্ষক আজাদ হোসেন। শেষ দিকে তাদের রিয়াদুল হাসান রাফির হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে যখন শেষের বাঁশির অপেক্ষা, তখনই সাইফের মুঠো গলে জয় বেরিয়ে যায়। শওকত রাসেলের ক্রসে ইসার সাইড ভলি মিতুল ফেরানোর পর পিটারের হেড তার গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়ায়। হ্যাটট্রিক পূরণের আনন্দে মাতেন পিটার, হার এড়ানোর উচ্ছ্বাসে ভাসে চট্টগ্রাম আবাহনী।
দিনের অন্য ম্যাচে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে উত্তর বারিধারাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ৭৩তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ সিটুল দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আমিরউদ্দিন শরিফি।
চলতি লিগে প্রথম জয় পাওয়া পুলিশ এফসির পাঁচ ম্যাচে পয়েন্ট হলো ৫। তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া উত্তর বারিধারার পয়েন্ট ৪।