মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে বৃহস্পতিবার এএফসি কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্রয়ে শুরুতে ছয় গ্রুপের আয়োজক নির্ধারণের পর হয় গ্রুপিং।
গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৬তম) চেয়ে এগিয়ে। মালয়েশিয়া ১৫৪তম, তুর্কমেনিস্তান ১৩৪তম এবং এই গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল বাহরাইন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮৯তম।
সবশেষ ২০১৯ সালের এশিয়ান কাপে শেষ ষোলোয় উঠেছিল বাহরাইন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া ওই প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে খেলেছিল তুর্কমেনিস্তানও।
মালয়েশিয়ারও তিনবার গ্রুপ পর্বে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সবশেষ তারা গ্রুপ পর্বে খেলেছিল ২০০৭ সালে। একবারই চূড়ান্তপর্বে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের, ১৯৮০ সালে কুয়েতের আসরে।
আগামী ৮ জুন বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাই শুরু করবে বাংলাদেশ। ১১ জুন তুর্কমেনিস্তান ও ১৪ জুন মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে দল।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে ‘ই’ গ্রুপে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। দুটি পয়েন্ট এসেছিল ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষের ড্রয়ে। বাকি ৬ ম্যাচে হেরে যায় দল।
এএফসির আগের ফরম্যাট অনুযায়ী আট গ্রুপের চতুর্থ স্থান পাওয়া আট দলের মধ্যে নিচের চার দল এবং পঞ্চম হওয়া আট দল, মোট ১২ দল নিয়ে হতো প্লে-অফ। সে হিসেবে প্লে-অফ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পরে তারা সিদ্ধান্ত বদলানোয় বাছাইয়ের শেষ ধাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
বাছাইয়ের ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্সআপ মিলিয়ে ১১ দল উঠবে চূড়ান্ত পর্বে। সেখানে আগে থেকেই আছে এশিয়ান কাপের স্বাগতিক চীন এবং আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও চার সেরা রানার্সআপ মিলিয়ে ১৩ দল।