বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার ৩-১ গোলে জিতেছে আবাহনী। শেখ রাসেলের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমায়েল রুতি। চারটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।
৪ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে লিগের রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। সমান ম্যাচ ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে শিরোপাধারী কিংস।
টানা দুই ড্রয়ের পর সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল শেখ রাসেল। আবাহনীর বিপক্ষে আসরে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল ২০১২-১৩ মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট তাদের।
সাবেক দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে প্রথম ভালো সুযোগটি পেয়েছিল শেখ রাসেল। ত্রয়োদশ মিনিটে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রুতির ভাসানো ক্রস গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল কোনোমতে ক্লিয়ার করেন। ছয় মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে থিয়াগো আমারালের জোরালো সাইড ভলি বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে।
২২ মিনিটে আবাহনীর দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার কর্নার গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ফেরান। একটু পর সোলেরার ওভারহেড কিক লক্ষ্যে থাকেনি।
২৪তম মিনিটে দোরিয়েলতনের হেড রানা ফেরানোর তিন মিনিট পর ক্রসবারের বাধায় গোল পায়নি আবাহনী। সুলেমানির শট ব্লকড হওয়ার পর দোরিয়েলতনের ফিরতি শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের শেষ দিকেও সুযোগ তৈরি করে আবাহনী। কিন্তু গোল থেকে যায় অধরা সোনার হরিণ হয়ে। ৩৬তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জীবনের ডান পায়ের জোরালো শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খোলে ম্যাচের ‘ডেডলক।’ গোলের অপেক্ষা ফুরোয় আবাহনীর। কলিনদ্রেসের কর্নারে দোরিয়েলতন হেড করার পর বল চলে যায় দূরের পোস্ট। সেখান থেকে হেডেই জাল খুঁজে নেন জুয়েল। চলতি লিগে এই ফরোয়ার্ডের এটাই প্রথম গোল।
৬১তম মিনিটে সতীর্থের ফ্লিকেবক্সের উপর থেকে ইরানের ডিফেন্ডার সুলেমানি বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
তিন মিনিট পর ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় শেখ রাসেল। এইলতন মাচাদোকে বল বাড়িয়ে বক্সের উদ্দেশে ছুটতে থাকেন রুতি। মাচাদোর পাস হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের পা হয়ে ফিরতি বল পেয়ে টপ কর্নার দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রুতি।
৬৮তম মিনিটে পায়ের কারিকুরি দেখাতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন মাচাদো। সতীর্থের পাস এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নিতে পারতেন, তখন তার সামনে কেবল ছিল গোলরক্ষক। কিন্তু কারিকুরি দেখাতে যাওয়া মাচাদোর পায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে।
৭৫তম মিনিটে দোরিয়েলতনকে তুলে মেহেদী হাসান রয়েলকে নামান আবাহনী কোচ।
শেষ দিকে সুশান্ত ত্রিপার শট এক ডিফেন্ডার ব্লক করার পর বক্সেই পেয়ে যান জীবন। ঠাণ্ডার মাথায় বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে আবাহনীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড।
গত লিগে প্রথম পর্বের দেখায় ১-১ ড্রয়ের পর ফিরতি পর্বে শেখ রাসেলকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আবাহনী। এবারের লিগেও প্রথম লেগে তাদের বিপক্ষে সহজ জয় পেল মারিও লেমোসের দল।