দীর্ঘদিন ধরে এমবাপের সম্ভাব্য গন্তব্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে রিয়ালের নাম। গত মৌসুমের শেষভাগে তো অনেকে ধরেই নিয়েছিল, এবারই সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে নোঙর ফেলবেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড।
সেসময় রিয়ালও উঠেপড়ে লেগেছিল এমবাপেকে দলে টানতে। পিএসজির সঙ্গে তখন চুক্তির মাত্র এক বছর বাকি থাকা এই তারকাকে পেতে স্পেনের ক্লাবটি রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিতেও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু কোনোভাবে তাকে ছাড়তে রাজি হয়নি প্যারিসের দলটি।
এরপর সময় যত গড়িয়েছে, ততই জোরাল হয়েছে সেই সম্ভাবনা। গত ১ জানুয়ারি থেকে নতুন কোনো দলের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতেও বাধা নেই চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২২ গোল করা ও ১৩টি করানো এমবাপের।
সেই থেকে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি রিয়ালের চাওয়া পূরণ হবে না? মেসি-নেইমারদের সঙ্গেই থেকে যাবেন এমবাপে? তেবাসের মনে অবশ্য কোনো প্রশ্ন বা বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। স্প্যানিশ সংবাদ সংস্থা ‘ইউরোপা প্রেস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, এমবাপের আসছে গ্রীষ্মে রিয়ালে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। নিজের এই বিশ্বাসের পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছেন তেবাস।
“এমবাপে ও হলান্ড, দুজনকেই দলে ভেড়াবে রিয়াল। যেহেতু বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুস আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
“এমবাপের আসাটা লা লিগার জন্য দারুণ খবর। লা লিগার জন্য এটা খুশির খবর। প্রতিযোগিতাটির জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।”
গত মাসের শেষ দিনে জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়ালের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে গেছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির সঙ্গে তাদের দুই লেগের লড়াইয়ের পরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে-ওই প্রতিবেদনে বলা হয় এমন কথাও।
এমনকি বেতনাদি নিয়েও দুই পক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়ে গেছে বলে দাবি করে বিল্ড। তবে, তেবাস এসব গুঞ্জনের ওপর ভিত্তি করে আশাবাদী হয়ে উঠছেন না। বরং তার ভাবনার পেছনে তুলে ধরলেন ‘অদ্ভূত’ এক যুক্তি।
“এমবাপের (দলবদলের) ব্যাপারে আমার কাছে কোনোরকম তথ্য নেই। তবে কিছু খেলোয়াড়ের বিষয়ে আমি দেখেছি, যাদের চুক্তিতে ছয় মাস বাকি থাকে এবং নতুন চুক্তিও করে না, তারা ওই ক্লাবে আর থাকে না।”