জামালের ‘লাথির অভিযোগের’ ফরেনসিক তদন্ত করবে বাফুফে

‘রেফারিকে জামালের লাথি’, এই ইস্যুতে ডিসিপ্লিনারি কমিটি যে ভিডিও ও তথ্য-উপাত্ত পেয়েছিল, সেখানে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তবে এখনই নিষ্কৃতি মিলছে না জামালের। বিষয়টির এখন ‘ফরেনসিক তদন্ত’ করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2022, 02:04 PM
Updated : 16 Feb 2022, 02:04 PM

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লিগ ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি গোলে জেতে শেখ রাসেল। ওই পেনাল্টি নিয়ে ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বাফুফেকে দেওয়া ম্যাচ কমিশনার ও রেফারির রিপোর্টে বলা হয়, ম্যাচ শেষে রেফারিকে ঘিরে ধরেন জামাল ও তার সতীর্থরা, এমনকি মাঠে ঢুকে দলটির কর্মকর্তারাও রেফারির দিকে তেড়ে যান। এক পর্যায়ে জামাল রেফারিকে লাথি মারলে, রেফারি সরে যাওয়ায় তা সহকারী রেফারি জুনায়েদ শরীফের গায়ে লাগে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাইফ স্পোর্টিংকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। চিঠির জবাব পাওয়ার পর বুধবার বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি সভায় বসে। শুধু সাইফ স্পোর্টিং ও দলটির ইভেন্ট ম্যানেজার সাইফ মাহবুবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ কমিটি পেয়েছে বলে জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

“ডিসিপ্লিনারি কমিটির আজকের সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি হচ্ছে, ম্যাচের সময় রেফারির সঙ্গে সাইফ স্পোর্টিংয়ের খেলোয়াড়রা যে অসদাচরণ করেছে, ডিসিপ্লিনারি কোডের ভাষায় এটাকে ‘টিম মিস কন্ডাক্ট’ বলা হয়, যেহেতু একাধিক খেলোয়াড় রেফারির সঙ্গে অসদাচরণ করেছে, সে কারণে দলটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অখেলোয়াড়সূলভ আচরণ যেন না করা হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।”

“একই সঙ্গে সাইফের ইভেন্ট ম্যানেজার সাইফ মাহবুব রেফারির সঙ্গে ‘আক্রমণাত্মক ভাষায়’ কথা বলেছেন, এই অফেন্সিভ ল্যাঙ্গুয়েজের জন্য তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকেও সতর্ক করা হয়েছে।”

সাইফ স্পোর্টিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুবর রহমান সুমন চিঠির জবাব দিতে এসে গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, ম্যাচ ভিডিও বিশ্লেষণ ও তাদের পর্যালোচনায় ‘কোনো কিছু ধরা পড়েনি’। সোহাগও জানালেন ডিসিপ্লিনারি কমিটি জামালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। তবে ‘ফরেনসিক তদন্ত’ করা হবে বলে জানাল তিনি।

“সাইফ স্পোর্টিংয়ের খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি রেফারিকে লাথি দিয়েছেন। এগুলোর প্রাপ্ত ভিডিও, তথ্য-উপাত্ত দেখে ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু যেহেতু রেফারি ও ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে অভিযোগটি ছিল, বাফুফের পক্ষ থেকে এটার ‘ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন’ করা হবে। সে রিপোর্ট পাওয়ার পর পুনরায় এটা আমরা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে পাঠাব, সে রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিবে।”