ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মঙ্গলবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। লিগে টানা দুই ড্রয়ের পর জয়ের স্বাদ পেল রালফ রাংনিকের দল। লিগ টেবিলেও এক ধাপ ওপরে উঠল তারা, চতুর্থ স্থানে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে দারুণ খেলা ব্রাইটন দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় খেলে একজন কম নিয়ে। ক্রসবার পথ আগলে দাঁড়ানোয় সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। লিগে সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর তারা পেল হারের তেতো স্বাদ।
প্রথমার্ধে রোনালদো, জেডন স্যানচোরা নিজেদের ছায়া হয়ে থাকায় আক্রমণে আধিপত্য করে ‘পুঁচকে’ ব্রাইটন। যদিও গোল পায়নি কেউ। ইউনাইটেডের তিন শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে। ব্রাইটনের আট শটের তিনটি।
ষোড়শ মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টারের শট ফেরান দে হেয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবারও ইউনাইটেডের ত্রাতা এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। সতীর্থের ক্রসে মোদেরের হেড লাফিয়ে আটকান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঝলক দেখান রোনালদো, এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। স্কট ম্যাকটমিনের পাস ধরে একটু এগিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নেন তিনি। এরপর বক্সের ঠিক উপর থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে খুঁজে নেন জাল। নতুন বছরে এই প্রথম গোল পেলেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
৫১তম মিনিটে গোল হজমের তিন মিনিট পর আরেক ধাক্কায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে ব্রাইটন। আক্রমণে ওঠা অ্যান্থনি ইয়েলাংয়াকে আটকাতে ‘লাস্ট ম্যান’ লুইস ডাঙ্ক ফাউল করেন। ভিএআর দেখে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেন রেফারি।
৭১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সেরা সুযোগ নষ্ট করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। ভুল করে রোনালদোর পায়ে বল তুলে দিয়েছিলেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। শট নেওয়ার মতো জায়গায় ছিলেন রোনালদোও, কিন্তু তার চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা স্বদেশিকে পাস দেন তিনি। পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের দুর্বল শট ঠেকান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফের্নান্দেস। প্রতি-আক্রমণ থেকে একক প্রচেষ্টায় নিজেদের অর্ধ থেকে এক ছুটে এসে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
২৫ ম্যাচে ১২ জয় ও সাত ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠল ইউনাইটেড। এক ম্যাচ কম খেলা চেলসি ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে।
২৫ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ম্যানচেস্টার সিটি। ২৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল।
২৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে ব্রাইটন।