সালাহ-মানের বিবর্ণ দিনে লিভারপুলের ত্রাতা ফাবিনিয়ো

আফ্রিকান নেশন্স কাপ শেষ করে প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেন সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহ। কিন্তু দুই তারকা ফরোয়ার্ড থাকলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। আক্রমণভাগের আরেক সেনানি রবের্তো ফিরমিনোও খুঁজে ফিরলেন নিজেকে। ফরোয়ার্ডদের এমন মলিন দিনে লিভারপুলকে পথ দেখালেন ফাবিনিয়ো। স্বস্তির জয় পেল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2022, 03:59 PM
Updated : 13 Feb 2022, 04:14 PM

বার্নলির মাঠে রোববার ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফাবিনিয়ো।

এ জয়ে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে লিভারপুল ব্যবধান কমিয়ে এনেছে ৯ পয়েন্টে। ২৫ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৪।

আগের রাউন্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে রুখে দেওয়া বার্নলি নিজেদের মাঠে শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবলের পসরা মেলে ধরে। গোলের সুযোগও পায় তারা, কিন্তু আলিসন বাধা পেরুতে পারেনি।

চতুর্দশ মিনিটে জশ ব্রাউনহিলের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আলিসন। একটু পর ম্যাকওয়েল করনেটের শটও আটকান এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।

২০তম মিনিটে নাবি কেইতার নিচু শট বাঁক খেয়ে পোস্টে ঢোকার আগ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে ফেরান বার্নলি গোলরক্ষক। পোস্টে এটাই ছিল লিভারপুলের প্রথম ভালো আক্রমণ।

পরের মিনিট পাল্টা আক্রমণে আলিসনকে একা পেয়েছিলেন ভাউট ভেগহর্স্ট, কিন্তু এই ডাচ ফরোয়ার্ডের দুর্বল চিপ ক্লিয়ার করেন ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড।

এই আক্রমণের শুরুতে বার্নলির বক্সের ওপরে প্রতিপক্ষের ট্যাকলে পড়ে গিয়েছিলেন সালাহ। লিভারপুল খেলোয়াড়দের দাবিতে ভিএআর দেখে রেফারি সিদ্ধান্ত দেন, সেখানে কোনো ফাউলের ঘটনা ঘটেনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের আক্রমণের ধার বাড়ে। কিন্তু ২৯তম মিনিটে মানে পেরুতে পারেননি নিক পোপের দেয়াল। অ্যালেক্সজান্ডার-আর্নল্ডের ফ্রি কিকে বক্সে বল পেয়ে সেনেগালের ফরোয়ার্ডের শট আটকান বার্নলি গোলরক্ষক। শুয়ে পড়া অবস্থায় মানের ফিরতি শট যায় বাইরে।

কাঙিক্ষত গোলের দেখা ‘অলরেড’ খ্যাত দলটি পায় ৪০তম মিনিটে। অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের কর্নারে মানের ফ্লিক হেডে জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান ফাবিনিয়ো। ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডারের প্রথম শট পোপের গায়ে লেগে ফিরে। ফিরতি টোকা খুঁজে পায় ঠিকানা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে শেষ সাত ম্যাচে এটি ফাবিনিয়োর পঞ্চম গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্নলি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বেন মি, ব্রাউনহিলরা পারেননি সমতাসূচক গোল এনে দিতে। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, দুই দলের খেলার গতি, আক্রমণের ধার ততই কমতে থাকে।

শেষ দিকে আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ায় লিভারপুল। ৮১তম মিনিটে ফিরমিনো দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট। পাঁচ মিনিট পর সালাহর আড়াআড়ি ক্রস বাইরে মেরে ব্যবধান দ্বিগুণের শেষ সুযোগটি নষ্ট করেন দিয়োগো জটা।

লিগে এ নিয়ে টানা চার জয় পেল লিভারপুল। বার্নলির বিপক্ষে লিগে এটি তাদের টানা তৃতীয় জয়। গত আসরে প্রথম পর্বে ৩-০ এবং ফিরতি পর্বে ২-০ গোলে জিতেছিল তারা। এবার জিততে ঘাম ছুটে গেল ক্লপের দলের।