চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে খেলবে পিএসজি।
গত ২৮ নভেম্বরে লিগ ওয়ানে সাঁত এতিয়েনের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচে চোট পান নেইমার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, ছয় থেকে আট সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি। ওই চোটের পর থেকে প্যারিসের দলটির ১৩টি ম্যাচ মিস করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
গত বৃহস্পতিবার সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে ফেরেন নেইমার। তবে দলে ছিলেন না গত শুক্রবার রেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে। ওই ম্যাচের পর পচেত্তিনো বলেন, রিয়াল ম্যাচে নেইমারকে পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
“নেইমারের উন্নতি খুব ভালো হচ্ছে। আমি আশা করি, সে (রিয়াল ম্যাচের) দলে থাকবে, সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।”
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রিয়াল ও পিএসজি। নকআউট পর্বে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৭-১৮ মৌসুমে শেষ ষোলোয় খেলেছিল তারা, সেবার ফরাসি ক্লাবটিকে বিদায় করে দিয়েছিল মাদ্রিদের দলটি।
তবে এই টুর্নামেন্টে দুই দলের সবশেষ দেখায় পিএসজির রয়েছে মধুর স্মৃতি। ২০১৯-২০ আসরে ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিলেন নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেরা।
ইউরোপের সফলতম দলটির বিপক্ষে আরেকটি মহারণে শেষ পর্যন্ত নেইমারকে পেলে নিশ্চিতভাবেই তা পিএসজির শক্তি বাড়িয়ে দেবে। যদিও চোটে পড়ার আগে খুব একটা ছন্দে ছিলেন না তিনি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে কেবল ৩টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করতে পেরেছেন তিনি।