২০২১-২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কোপা দেল রে থেকে আগেভাগে ছিটকে যাওয়া বার্সেলোনা লা লিগায়ও পিছিয়ে পড়েছে অনেক। ২১ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে তারা, শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১৫ পয়েন্ট কম। মাদ্রিদের দলটি অবশ্য একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে।
লিগ শিরোপা জয়ের আশা ফিকে হয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা এখনও ভালোমতোই টিকে আছে বার্সেলোনার। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে সেরা চারের মধ্যে থেকে মৌসুম শেষ করতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবে তারা। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
বার্সেলোনার সামনে সুযোগ আছে আরেকটি উপায়েও। ইউরোপা লিগে নেমে যাওয়া দলটি প্রতিযোগিতাটির শিরোপা ঘরে তুলতে পারলে নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা। ইউরোপা লিগে নকআউট পর্বের প্লে-অফের প্রথম লেগে নাপোলির বিপক্ষে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি খেলবে বার্সেলোনা।
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা (লা লিগায় শীর্ষ চারে থাকা) পাওয়া এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। আর এরপর আমরা কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না, যতক্ষণ না হিসাব-নিকাশ আমাদের বিপক্ষে যায়।”
জানুয়ারির দলবদলে কিছু শক্তিও বাড়িয়েছে দলটি। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স থেকে ধারে আদামা ত্রাওরেকে, আর্সেনালের সাবেক অধিনায়ক ও গ্যাবন ফরোয়ার্ড পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংকে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে টেনেছে বার্সেলোনা। তার আগে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ফেররান তরেসকে দলে টানে তারা।
উসমান দেম্বেলেকেও প্রয়োজনে আবার স্কোয়াডে যোগ করার ও খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাভি। সব মিলিয়ে ভালোই শক্তি বেড়েছে তার দলের। শাভির কণ্ঠেও তাই সামনে ভালো কিছুর আশাবাদ।
“দলে আগে থেকেই যারা আছে এবং নতুন চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয়, আমরা উন্নতি করতে পারব।”