সান সিরোয় শনিবার রাতে সেরি আর ম্যাচে ইন্টার মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। ইভান পেরিসিচের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ব্যবধান গড়ে দেন জিরুদ।
দারুণ এই জয়ের পর লিগ টেবিলে ইন্টারের সঙ্গে ১ পয়েন্টের দূরত্বে উঠে এসেছে মিলান। ২৩ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিমোনে ইনজাগির দল। মিলানের পয়েন্ট ৫২, অবশ্য তারা এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।
গত নভেম্বরে আসরে প্রথম লেগে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
ব্যস্ত সময় কাটানো ফরাসি এই গোলরক্ষক ৩৭তম মিনিটে আবারও দারুণ সেভ করেন। এবার লাউতারো মার্তিনেসের শট ঠেকিয়ে দেন মিয়াঁ।
পরের মিনিটেই প্রত্যাশিত গোল পেয়ে যায় ইন্টার। হাকান কালহানোগলুর দারুণ কর্নারে বল সবার ওপর দিয়ে বাঁক খেয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছে খুঁজে নেয় পেরিসিচকে। ঠাণ্ডা মাথায় নিচু কোনাকুনি ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। ইন্টারের জার্সিতে এটা তার ৫০তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার কৌশলে খেলতে থাকে মিলান। কিন্তু মিলছিল না সুযোগ। অবশ্য এই অর্ধে ইন্টারও তেমন কিছু করতে পারেনি। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে ৯ শট নেওয়া দলটি দ্বিতীয় ভাগে নেয় কেবল দুটি শট।
৭০তম মিনিটে একসঙ্গে জোড়া পরিবর্তন করেন ইন্টার কোচ। স্ট্রাইকার মার্তিনেসকে তুলে আলেক্সিস সানচেস ও গোলদাতা পেরিসিচের জায়গায় ডিফেন্ডার ফেদেরিকো দিমারকোকে নামায় দলটি। এর কিছুক্ষণ পরই মিলানের অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানো।
অসাধারণ নৈপুণ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন জিরুদ। দাভিদে কালাব্রিয়ার ছোট পাস বাঁ পায়ের দারুণ ফ্লিকে নিজের ডান দিকে বাড়ানোর মাঝেই সঙ্গের ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দেন জিরুদ। এরপর শরীরটাকে ঘুরিয়ে বাঁ পায়ের শটে জয়সূচক গোলটি করেন গত জুলাইয়ে চেলসি থেকে মিলানে যোগ দেওয়া এই স্ট্রাইকার।
বাকি সময়ে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইন্টার। যোগ করা সময়ও মিলেছিল পাঁচ মিনিট। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। একেবারে শেষ সময়ে মিলানের ডিফেন্ডার থিও এরনঁদেজ দেখেন লাল কার্ড। কিন্তু সেই সুবিধা কাজে লাগানোর মতো সময় ছিল না ইন্টারের।
সেরি আর শিরোপা লড়াইয়ে ভালোভাবে আছে নাপোলিও। ২৩ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তিন নম্বরে। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে আতালান্তা।
রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন্স ইউভেন্তুস ২৩ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে আছে পাঁচ নম্বরে।