ফিক্সিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ আরামবাগের খেলোয়াড়দের ফিফার শাস্তি

ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কোচ, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এবার তাদেরকে শাস্তি দিল ফিফাও।

বাফুফের শাস্তি ছিল মূলত ঘরোয়া ফুটবলে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার শাস্তির ফলে ফিক্সিংয়ে জড়িতরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিষিদ্ধ হলেন। গত বৃহস্পতিবার ফিফা এই শাস্তি আরোপ করেছে বলে জানালেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।

“আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের পাতানো ম্যাচ সংক্রান্ত বিষয়ে গত বছর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কয়েকজন কর্মকর্তা, কোচ এবং দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়কে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি যে শাস্তি দিয়েছিল এবং পরে বাফুফের আপিল কমিটিতেও যে শাস্তি বহাল ছিল, সে ব্যাপারে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও ফিফা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল।”

“যেহেতু বাফুফের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর প্রভাব ছিল ঘরোয়া ফুটবল কেন্দ্রিক। ম্যাচ গড়াপেটা, স্পট ফিক্সিং এ বিষয়ে বাফুফের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর, সেটা আমরা ফিফাকে জানিয়েছি। ফিফা থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচ পাতানোর ফলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি বহাল থাকবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। আমরা সংশ্লিটদের সেটা জানিয়ে দিয়েছি।”

২০২০-২০২১ মৌসুমে বাজি, স্পট ফিক্সিং, অনলাইন বেটিংসহ অন্যান্য অভিযোগে আরামবাগের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, ফিটনেস ট্রেইনার ভারতীয় নাগরিক মাইদুল ইসলাম শেখ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট টিম ম্যানেজার আরিফ হোসেনকে বিশ্বব্যাপী ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাবেক ফিজিও ভারতীয় নাগরিক সঞ্জয় বোস ও সাবেক গেম এনালিস্ট আজিজুল শেখ নিষিদ্ধ হয়েছেন ১০ বছরের জন্য।

ফিফার সিদ্ধান্তের ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে আপেল মাহমুদ, আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, কাজী রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লা ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কার্যকলাপ থেকে এক বছরের জন্য বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ থাকবেন।

ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকায় আরামবাগের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় চিজোবা ক্রিস্টোফার দুই বছরের জন্য, সাবেক খেলোয়াড় শামীম রেজা ও অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার স্মিথ ক্রিস্টিয়ানও তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।