মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় শনিবার মেয়েদের এককের ফাইনালে বার্টি জেতেন ৬-৩, ৭-৬ (৭-২) গেমে।
৪২ বছরের মধ্যে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নারী হিসেবে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠে প্রথমবারেই বাজিমাত করলেন মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা তারকা।
দুর্দান্ত এক ফোরহ্যান্ড শটে বার্টি ৪০-৩০ করার পর ডাবল ফল্ট করে বসেন কলিন্স। এরপর অনায়াসেই ওই সেট জিতে নেন স্বাগতিক তারকা।
নিজের ভুলে পিছিয়ে পড়ার হতাশা সামলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান কলিন্স। দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্টি এগিয়ে থাকলেও সবশেষ দেখায় সফল হয়েছিলেন এই আমেরিকান। দ্বিতীয় সেটের দ্বিতীয় গেমেই প্রতিপক্ষের সার্ভিস ব্রেক করেন তিনি। প্রথম ছয় গেমে আরও একবার ব্রেক পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে যান ৫-১ এ। ওখান থেকে বার্টি যেভাবে ঘুরে দাঁড়ান তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
ম্যাচ জুড়ে ফোরহ্যান্ডে দাপট দেখানো এই তারকা আবারও টানা দুটি ব্রেক পয়েন্ট নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। তাতে গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম ফাইনাল খেলতে নামা কলিন্সের মনোবলই যেন ভেঙে যায়।
এক ঘণ্টা ২৭ মিনিটের লড়াইয়ের বাকি সময়ে আধিপত্য ধরে রেখে তৃতীয় মেজর জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়েন বার্টি।
এই সাফল্যে আরেকটি দারুণ কীর্তিও গড়া হলো বার্টির। ১৯৭৮ সালের ট্রফিজয়ী ক্রিস্টিন ও’নিলের পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এখানে ছেলে কিংবা মেয়েদের এককে শিরোপা জিতলেন তিনি।
ক্যারিয়ারে এই নিয়ে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতলেন বার্টি। সেই সঙ্গে বজায় রাখলেন মেজরের ফাইনালে শতভাগ সাফল্যের রেকর্ডও। এর আগে ২০১৯ ফরাসি ওপেনে ও ২০২১ উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
কলিন্সের বিপক্ষে মুখোমুখি দেখায় বার্টি এগিয়ে গেলেন ৪-১ ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ২৮ বছর বয়সী প্রতিপক্ষের পারফরম্যান্সের প্রশংসা দিয়ে শুরু করেন বার্টি।
“সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। ড্যানিয়েলকে আমার অভিনন্দন জানাতে হবে, দারুণ দুটি সপ্তাহ কাটালে তুমি। আমি জানি, আগামীতে অনেক বছর তুমি এইসব শিরোপার জন্য লড়াই করবে।”
“আমি একটু ঘোরের মধ্যে আছি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমার আজকের অর্জনের পেছনে অনেক ভূমিকা রেখেছে…আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। একজন অস্ট্রেলিয়ান হয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। (দর্শকদের উদ্দেশ্যে) সবাইকে অনেক ধন্যবাদ- আবার দেখা হবে।”