একুয়েডরের রাজধানী কিটোয় বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে ব্যস্ত সময় কাটে কলম্বিয়ান রেফারি উইলমার রোলদানের। মোট চারবার লাল কার্ড উঁচিয়ে ধরেন তিনি। এর দুটি টিকে থাকে। ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসনকে দুই দফায় লাল কার্ড দেওয়া হলেও দুটি বদলে যায় ভিএআর-এ। এছাড়া একুয়েডরের পক্ষে দুটি পেনাল্টি দেন রেফারি, এগুলোও বদলে যায় প্রযুক্তির সহায়তা।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ৩২ ফাউলের লড়াইটিতে কাসেমিরোর গোলে ব্রাজিল এগিয়ে যাওয়ার পর স্বাগতিকদের হয়ে সমতা টানেন ফেলিক্স তরেস।
লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিল এই ড্রয়ের পর ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে একুয়েডর। আর ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে কলম্বিয়া। শুক্রবারের ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে তারা ছিল চতুর্থ স্থানে।
এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকেট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ।
কলম্বিয়া এখনও বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে থাকায় সেই দেশের একজনের রেফারির দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিতে।
“পয়েন্ট তালিকার প্রথম ও তিনে থাকা দল যখন খেলছে, তখন চারে থাকা দেশের একজনকে রেফারি নিয়োগের কোনো মানে ছিল না।”
“রোলদান ভালো রেফারি, তবে এটি ব্যাখ্যার দাবি রাখে। এই নিয়োগটা স্পর্শকাতর হয়ে গেছে।”
ম্যাচে দুই দলের ফুটবলাররাই মেতে উঠেছিলেন যেন ফাউলের উৎসবে। এমন ফুটবলকে সমর্থন না করলেও কারণটা অনুধাবন করতে পারছেন তিতে।
“কঠিন একটি ম্যাচ ছিল। ফাউল অনেক বেশি হয়েছে, একুয়েডর ২০টি এবং আমরা ১২টি ফাউল করেছি।”
“পরিস্থিতির কারণে এসব হয়েছে। ইচ্ছাকৃত নয়, উত্তেজনার বশে হয়েছে। ভুল হয়েছে? হ্যাঁ এবং তার সংশোধন করা প্রয়োজন। আরও পরিণত আচরণ প্রয়োজন। তবে ওসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না।”