খেলোয়াড় ছাড়তে রিয়ালের অনুরোধে ব্রাজিলের ‘না’ 

রিয়াল মাদ্রিদের অনুরোধেও আন্তর্জাতিক বিরতি শেষের আগে তাদের ফুটবলারদের ছাড়ছে না ব্রাজিল। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন জানিয়েছে, জাতীয় দলের ফুটবলারদের কেবল নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়বেন তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 03:49 PM
Updated : 27 Jan 2022, 08:28 PM

সামনের আন্তর্জাতিক বিরতিতে লাতিন আমেরিকার দলগুলো বিশ্বকাপের বাছাইয়ে খেলবে। কোভিড মহামারীর কারণে বিভিন্ন সময়ে স্থগিত হওয়া ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য এই বছর অতিরিক্ত এই আন্তর্জাতিক ‘উইন্ডো’ যুক্ত করেছে ফিফা।

বাছাইয়ে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ব্রাজিল ইতিমধ্যেই কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে।

আগামী বৃহস্পতিবার একুয়েডরের বিপক্ষে খেলার পর ১ ফেব্রুয়ারি প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সফলতম দলটি।

রিয়াল মাদ্রিদ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে আথলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে।

ব্রাজিল দলে ডাক পেয়েছেন রিয়ালের কাসেমিরো, এদের মিলিতাও, রদ্রিগো ও ভিনিসিউস জুনিয়র। কোপা দেল রের ম্যাচটি খেলার জন্য এই চার জনকে ২ তারিখের আগে ব্রাজিল ক্যাম্প থেকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল স্পেনের সফলতম দলটি।

তবে স্প্যানিশ রেডিও শো এল লারগেরো-তে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের পরিচালক জুনিনিয়ো বললেন, রিয়ালের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তারা সব ক্লাবকেই সুযোগ করে দিতে চান না।

“আমরা খেলোয়াড়দের ছাড়ছি না। ২ ফেব্রুয়ারি ফিফার (আন্তর্জাতিক বিরতির) মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। প্রথম ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে কিনা।”

“তারা শেষ পর্যন্ত (২ ফেব্রুয়ারি) আমাদের সঙ্গে থাকবে। তাদের ছেড়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। আমরা এরকম কোনো নজির স্থাপন করতে পারি না। অন্যান্য ক্লাবের কাছ থেকেও আমাদের কাছে অনুরোধ ছিল।”

বিশ্বকাপের বছরে ফুটবলারদের জাতীয় দলে পাওয়ার স্বল্প সময়টুকু কাজে লাগানোর তাড়নার কথাও বললেন জুনিনিয়ো।

“খেলোয়াড়দের আমরা কয়েকটা দিনই পাই। এই সময়টা আমাদের কাজে লাগাতে হবে, কারণ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এখন শুরু হয়ে গেছে।”

তিতে ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর খেলোয়াড় ছাড়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। এবারও রিয়াল পরিস্থিতি বুঝতে পারবে বলেই আশা জুনিনিয়োর।

“তিতের ম্যানেজমেন্টে এমনটি কখনও ঘটেনি। এমন নয় যে আমরা ক্লাবগুলির অবস্থা বুঝতে পারি না। এটা মহামারীর কারণে ঘটেছে। পূর্বের সূচিতে জানুয়ারিতে কোনো আন্তর্জাতিক বিরতি ছিল না। এই পরিস্থিতি আমাদের ওপর চেপে বসেছে।”

“ক্লাবগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। সবসময় আন্তরিকভাবে কথা বলি আমরা। ব্রাজিল কোচ তিতে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন (রিয়াল মাদ্রিদ কোচ) কার্লো আনচেলত্তিকে। ভালোভাবেই আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে এবং আমি মনে করি তাদের কোনো সমস্যা নেই।"

শুধু ক্লাব কতৃপক্ষই নয়, ওই ফুটবলারদের কাছেও পুরো চিত্র তিতে ব্যখ্যা করেছেন বলে ধারণা জুনিনিয়োর।

“আমার মনে হয়, তিতে তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এবং পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে ব্যাখা করেছে।”

“অক্টোবরের (গতবছর) আন্তর্জাতিক বিরতির ম্যাচগুলো বাতিল করা হয়েছিল এবং বিশ্বকাপের আগে (আগামী নভেম্বরে) প্রস্তুতির জন্য আমাদের কাছে মাত্র এক সপ্তাহ আছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকা এবং তাদের অবস্থা বোঝার জন্য তিতের কাছে মাত্র এক সপ্তাহ আছে। ক্লাবগুলোও তা বোঝে।”