প্যারিসে নিজেদের মাঠে রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। রামোস ছাড়াও তাদের হয়ে একটি করে গোল করেন মার্কো ভেরাত্তি ও দানিলো পেরেইরা। অন্যটি প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।
ম্যাচে ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে পিএসজি গোলের জন্য মোট শট নেয় ২২টি, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। আর সফরকারীদের সাত শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল।
শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা পিএসজি পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন আনহেল দি মারিয়া। ২৪তম মিনিটে একইভাবে শট করেন দানিলোও।
মাঝে কয়েক মিনিটের মধ্যে ভালো দুটি সুযোগ তৈরি করে রাঁস। ফরাসি ডিফেন্ডার ব্রাডলি লোকোর নিচু শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ফরোয়ার্ড একিতিকের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিটে দুটি সুযোগ পায় রাঁস। এমবুকুর শট ঠেকান নাভাস। ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন দিওন লপি।
৬২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রামোস। কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি সফরকারীরা। রামোসের শট প্রথমে গোলরক্ষক ঠেকালেও ফিরতি বল জালে পাঠান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার।
এরপরই দি মারিয়ার জায়গায় মেসিকে নামান পিএসজি কোচ পচেত্তিনো। গত ২২ ডিসেম্বরের পর প্রথমবার ক্লাবের হয়ে মাঠে নামলেন তিনি। মাঝে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বাইরে ছিলেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা।
বদলি নেমেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাখেন প্রভাব। কর্নারে ছোট করে তিনি বল বাড়ান ভেরাত্তিকে। তার শট প্রতিপক্ষের ফায়েসের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
শেষ দিকে জালে বল পাঠান ইকার্দি, কিন্তু এর আগ মুহূর্তে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের হাতে বল লাগায় গোল মেলেনি।
২২ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৫৩। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নিস। তিন নম্বরে মার্সেইয়ের ২১ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট।