প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার ৪-১ গোলে জয় পেয়েছে শিরোপাধারীরা। বায়ার্নের হয়ে গোল করেছেন কোরোঁতাঁ তোলিসো, টমাস মুলার, লেরয় সানে ও সের্গে জিনাব্রি।
গত অগাস্টে আসরে প্রথম দেখায় দলটির বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান বায়ার্নের তোলিসো। কিন্তু কিঞ্চিৎ ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন তিনি, ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি।
২৫তম মিনিটে তোলিসোর নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বাঁ দিক থেকে কিংসলে কোমানের ক্রসে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকে নিচু হয়ে হেডে গোলটি করেন ২৭ বছর বয়সী ফরাসি মিডফিল্ডার।
এই নিয়ে বুন্ডেসলিগায় টানা ৬৭ ম্যাচে গোল পেল বায়ার্ন।
৪৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুলার। জশুয়া কিমিখের নেওয়া ফ্রি-কিকে ডি-বক্সে বল পেয়ে হেডে গোলটি করেন জার্মানির হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতা মুলার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২৯ ম্যাচে এটি তার নবম গোল।
৭৫তম মিনিটে নিজেদের ভুলে তৃতীয় গোল হজম করে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করা হের্টা গোলরক্ষক আলেকজান্ডার শোলো ছয় গজ বক্সের বাঁ থেকে অপরপাশে দুর্বল পাস বাড়ান সতীর্থের উদ্দেশে। ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান সানে।
চার মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে কিমিখের পাস পেয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন জিনাব্রি।
৮০তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামার পরপরই হের্টার একমাত্র গোলটি করেন ইয়ুর্গেন একেলেনকাম্প।
আসরে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৩ গোল করা লেভানদোভস্কি লিগে চার ম্যাচ জালের দেখা পেলেন না।
বুন্ডেসলিগায় কোচ হিসেবে হের্টার বিপক্ষে ১৩ ম্যাচে অপরাজিত রইলেন নাগেলসমান।
২০ ম্যাচে ১৬ জয় ও এক ড্রয়ে বায়ার্নের পয়েন্ট হলো ৪৯। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।