২ গোলে পিছিয়ে শেষ মুহূর্তে হার এড়াল রিয়াল

তিন দিন আগে ভিন্ন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার পর খুব কষ্টে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই একই দল এলচের বিপক্ষে এবার তারা প্রথমার্ধেই খেয়ে বসল গোল। দ্বিতীয়ার্ধে হজম করল আরেকটি। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে কোনোরকমে হার এড়াল কার্লো আনচেলত্তির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2022, 05:18 PM
Updated : 23 Jan 2022, 10:23 PM

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রোববার লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। লুকাস বোয়ের গোলে এলচে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেরে মিয়া। পরে লুকা মদ্রিচ ব্যবধান কমানোর পর এদের মিলিতাওয়ের গোলে সমতায় শেষ করে রিয়াল।

গত বৃহস্পতিবার কোপা দেল রের শেষ ষোলোয় এলচের বিপক্ষে নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল। পরে ইসকো ও এদের আজারের গোলে জিতেছিল তারা। এবার দুই গোল হজমের পর আর জয়ের দেখা পেল না মাদ্রিদের দলটি।

পুরো ম্যাচে দুই-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করে রিয়াল। গোলের উদ্দেশ্যে তাদের ২৩ শটের আটটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে এলচে নিতে পারে কেবল তিন শট, যার মাত্র দুটি লক্ষ্যে এবং দুটিই গোল।

ম্যাচের শুরু থেকে রিয়াল আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণে সুবিধা করতে পারছিল না। একাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি ভিনিসিউস জুনিয়র। ২৭তম মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন করিম বেনজেমা।

৩০তম মিনিটে মদ্রিচের শট দারুণভাবে পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন এলচে গোলরক্ষক এদগার বাদিয়া। দুই মিনিট পরই ডি-বক্সে ভিনিসিউস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু ক্রসবারে মেরে বসেন এখন পর্যন্ত আসরে সর্বোচ্চ ১৭ গোল করা করিম বেনজেমা।

খেলার ধারার বিপরীতে ৪২তম মিনিটে এগিয়ে যায় এলচে। বাঁ থেকে মিডফিল্ডার ফিদেলের ছয় গজ বক্সের মুখে বাড়ানো ক্রসে ডাইভিং হেডে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বোয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে এলচের ডি-বক্সে তাদের এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে এদেন আজার পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি।

গোছালো আক্রমণে ৭১তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ আসে ভিনিসিউসের সামনে। কিন্তু ডিফেন্ডার পালাসিওকে কাটানোর পর শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

পাঁচ মিনিট পরই দ্বিতীয় গোল হজম করে রিয়াল। বোয়ের পাস ডি-বক্সে ধরে সময় নিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মিয়া। তার সবচেয়ে কাছে থাকা ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদিও চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট ক্ষিপ্র হতে পারেননি।

৭৮তম মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে রিয়ালের সামনে। এবার মদ্রিচের কর্নারে কাসেমিরোর হেড ক্রসবারে লাগে।

চার মিনিট পরই ব্যবধান কমানো গোলের দেখা পায় রিয়াল। মদ্রিচের আরেকটি কর্নারে ডি-বক্সে এলচে ফরোয়ার্ড মিয়ার হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। সফল স্পট কিকে বল জালে পাঠান ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।

আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা টানেন মিলিতাও। স্বদেশি ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের ক্রসে হেডে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

লিগে এই নিয়ে শেষ তিন ম্যাচে দ্বিতীয়বার পয়েন্ট হারাল রিয়াল। স্পেনের শীর্ষ লিগে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে গেতাফের মাঠে হেরে বসে দলটি। পরের ম্যাচে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে বড় জয়ের পর ফের হোঁচট খেল তারা।

এর মাঝে অবশ্য একটা শিরোপা ধরা দিয়েছে তাদের হাতে। স্প্যানিশ সুপার কাপে সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারানোর পর ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওকে হারিয়ে শিরোপা জেতে দলটি।

তবে লা লিগায় আবারও এই হোঁচট নিশ্চিতভাবেই রিয়ালের জন্য ভাবনার কারণ। ২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫০। ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া।

তিন নম্বরে রিয়াল বেতিসের পয়েন্ট ৪০।