জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় দুটি ম্যাচ খেলার আয়োজন করা হলেও জাতীয় দলের সবাই কোভিড টিকা না নেওয়ায় সফরটি ভেস্তে গেছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। হাভিয়ের এই ফাঁকে ক্লাবে ক্লাবে গিয়ে নতুন শিষ্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, ক্লাবগুলোতে খেলোয়াড়দের অনুশীলন সুবিধাসহ নানা বিষয়গুলো স্বচোখে দেখার উদ্যোগ নিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরের পর আবাহনীতে যান হাভিয়ের। দলটির কোচ মারিও লেমোসসহ আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মুগ্ধতার কথা।
“আবাহনীতে আসতে পারা এবং এ দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি ক্লাব পরিদর্শনের সুযোগ পাওয়াটা আনন্দের। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলিত হওয়ার এবং কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট ও মারিও লেমোসের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ছেলেরা বিপিএলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এখানকার পরিবেশ চমৎকার।”
“ক্লাবগুলো পরিদর্শনের প্রথম অভিজ্ঞতা তৃপ্তিদায়ক। আবাহনীর অবকাঠামো সুন্দর। আমি যেটা দেখলাম এবং মারিওর সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝলাম, আবাহনীর কাঠামো খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে আমি তুলনা করতে পারছি না, যেহেতু বাংলাদেশেই এসেছি সপ্তাহখানেক।”
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, ক্লাব এবং খেলোয়াড়দের এক সুঁতোয় গেঁথে পরিকল্পনা সাজানোর ছক হাভিয়েরের। এ কারণেই ক্লাবগুলো ঘুরেফিরে দেখা গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে।
“আমি প্রথমত প্রাধান্য দিচ্ছি…এই দেশের ফুটবল কাঠামোটা বোঝার চেষ্টা করছি। তাই আমি মনে করি, সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিটি পেশাদার ক্লাবে যাওয়া, তাদের প্রাত্যহিক কাজ দেখা এবং জাতীয় দল ও ক্লাবের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করা একটা ভালো উপায়।”
জাতীয় দলের অধিনায়ক ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূইয়া ও নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ফিনল্যান্ড প্রবাসী কাজী তারিক রায়হান সম্পর্কে ভালো জানাশোনা আছে হাভিয়েরের। জামাল তার চোখে ‘গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ’, তারিক ‘দারুণ সম্ভাবনাময়’। তবে নতুন কোচ তাকিয়ে আছেন আসছে লিগের দিকে। নতুনদের তুলে আনতে চান লিগ থেকে।
“আবারও বলছি, আমি লড়াকু মনোভাবের খেলোয়াড়ের খোঁজ করছি। আগের সংবাদ সম্মেলনেও এটা আপনাদের বলেছি। আমি মনে করি, বিপিএল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ এবং এখান থেকে আমি চাহিদা অনুযায়ী খেলোয়াড় পাব, যাদের মধ্যে জয়ের আকাঙ্ক্ষা থাকবে।”
“জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, আমি তাদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মিশব এবং তাদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। বিশ্বাস করি, খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যেকার সম্পর্ক সেরাটা বের করে আনে। আমি তাদের (লিগের খেলা) দেখব, ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি খেলোয়াড়ের বিষয়ে খোঁজ রাখব এবং (পছন্দ হলে) জাতীয় দলে সুযোগ দিব।”