জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বুধবার চার জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৬২ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ মোশাররফ শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে পেয়েছেন ৩০ লাখ টাকা এবং মহিলা ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার রানী হামিদকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ক্রীড়া সংগঠককে ২২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১৯৮৫ সালের এসএ গেমসে ৮১ কেজি লাইট হেভিওয়েট ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেছিলেন মোশাররফ। তার সুবাদেই দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে বক্সিং থেকে প্রথম সোনার হাসি হাসতে পেরেছিল বাংলাদেশ। পরের বছর দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের এশিয়ান গেমসে একই ওজন শ্রেণিতে নেপালের প্রতিযোগীকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেন তিনি। রচিত হয় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রথম পদক জয়ের অধ্যায়।
বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১০ হাজার ক্রীড়াসেবীকে পাঁচ কোটি টাকা বিশেষ আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বলে চেক বিতরণকালে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। তিনি সুখে-দুঃখে সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে ছায়ার মতো থাকেন। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বা যেকোনো ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংগঠকের যেকোনো সমস্যায় তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ এ করোনাকালীন সময়ে ১০ কোটি টাকাসহ আরো ২০ কোটি টাকা মোট ৩০ কোটি টাকা সিডমানি প্রদান করেছেন। ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”